নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: ভার্চুয়াল মাধ্যমে খোয়ানো টাকা ফেরাল রায়গঞ্জ সাইবার থানার পুলিস। শুক্রবার ৯ জন প্রতারিতকে সাইবার থানায় ডেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ৪ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা ফেরালেন ইটাহারের এসডিপিও নীলেশ শ্রীকান্ত গায়কোয়াড। তিনি জানিয়েছেন, চলতি বছর জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রায়গঞ্জ সাইবার থানার তরফে সর্বমোট ৭৪ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা প্রতারিতদের ফেরত দেওয়া হল।
পুলিস জানিয়েছে, কেউ অনলাইন কোচিং ক্লাসের জন্য টাকার লেনদেন করতে গিয়ে, কেউ কোনও পরিষেবা নিতে টাকা দিয়ে প্রতারিত হয়েছিলেন। আবার কেউ প্রতারকদের ফাঁদে পা দিয়ে মোবাইল ফোনে আকর্ষণীয় অফার শুনে ব্যাঙ্কের তথ্য দিয়ে প্রতারিত হয়েছিলেন। সবক্ষেত্রেই সাইবার থানার পুলিস অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে এবং খোয়া যাওয়া টাকা উদ্ধার করে। এদিন সেই টাকা ফেরানো হয়। খোয়া টাকা ফেরত পেয়ে বেজায় খুশি সকলে।
ইটাহারের এসডিপিও বলেন, মানুষ অনেকসময় অজ্ঞতাবশত ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রতারকদের ফাঁদে পা দেয় এবং তাঁদের ব্যাঙ্ক থেকে টাকা খোয়া যায়। সেই সব ঘটনার অভিযোগ পেয়ে রায়গঞ্জ সাইবার থানার পুলিস ধারাবাহিকভাবে তদন্ত চালায়। তদন্তকারীরা অত্যন্ত ধৈর্য্যের সঙ্গে তদন্ত পর্বের পর প্রতারকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ফিরিয়ে আনা হয়। এমনকী সুদূর রাজস্থানের এক প্রতারকের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকেও টাকা ফেরানো হয়।
এদিন টাকা ফেরত পাওয়া প্রতারিত গৃহবধূ পেশায় কাপড়ের ব্যবসায়ী মিঠু ভৌমিক বলেন, জামাকাপড় কেনার জন্য এক ব্যবসায়ীর উদ্দেশে টাকা দিয়েছিলাম।
পরে জানতে পারি, আমি প্রতারকের ফাঁদে পড়েছি। যাকে টাকা দিয়েছিলাম, সে কোনও ব্যবসায়ী নয়। এরপর রায়গঞ্জ সাইবার থানায় অভিযোগ জানাই এবং টাকা ফিরে পাই। সাইবার প্রতারণায় খোয়ানো টাকা ফেরালো রায়গঞ্জ সাইবার ক্রাইম থানা।-নিজস্ব চিত্র