নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্ৰাম: বৃষ্টির জলে বেহাল মোরামের রাস্তা যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সেজন্য এক কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের দাবিতে শুক্রবার সাঁকরাইল ব্লকের রোহিণী পঞ্চায়েতের রঞ্জিতপুরে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে দীর্ঘক্ষণ অবরোধ করলেন স্থানীয়রা। অবরোধে তৃণমূলের পতাকা ওড়ানো নিয়ে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে বচসা দেখা দেয়। পরে ওই পতাকার বদলে জাতীয় পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ হয়।ওই গ্রামের রোহিণী ডাহী মোড়ে পথ অবরোধের জেরে সকাল থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সাঁকরাইল থানার পুলিস ও সাঁকরাইলের বিডিও সকালেই সেখানে পৌঁছন। ডিএসপি(ডিঅ্যান্ডটি) সব্যসাচী ঘোষ গ্ৰামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন। রাস্তা তৈরির আশ্বাস পেয়ে স্থানীয়রা অবরোধ তুলে নেন।
পঞ্চায়েত সমিতির তরফে গতবছর ওই রাস্তার ১০০মিটার পাকা করা হয়েছিল। এরপর স্থানীয় পঞ্চায়েতের তরফে আরও ১০০মিটার রাস্তা পাকা করা হয়। গ্রামবাসীদের দাবি, বর্ষায় বাকি রাস্তায় জল জমে যাতায়াত করা যাচ্ছে না। এক কিলোমিটার নতুন রাস্তা তৈরির জন্য প্রশাসনের সর্বস্তরে বারবার দাবি জানানো হয়। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। সেজন্য গ্ৰামের বাসিন্দারা এদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান।রঞ্জিতপুর গ্ৰামের বাসিন্দা সোমাই মাণ্ডি বলেন, এটি এলাকার ব্যস্ত রাস্তা। বহুদিন ধরে বেহাল থাকলেও প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করছে না। বিডিওর সঙ্গে কথা হয়েছে। এবার আমরা জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলতে চাই। অপর বাসিন্দা পদ্মাবতী পাতর বলেন, শাড়ি পরে ওই রাস্তার কাদাজল দিয়ে হাঁটা যায় না। খুব সমস্যা হচ্ছে।সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ঝনু বেরা বলেন, পঞ্চায়েত সমিতির তহবিল সীমিত। জেলা পরিষদের স্থানীয় সদস্যদের বিষয়টি দেখার জন্য বারবার বলা হচ্ছে।সাঁকরাইলেরর বিডিও রোহন ঘোষ বলেন, গত সপ্তাহেও গ্ৰামবাসীদের সঙ্গে রাস্তার বিষয়ে কথা বলেছি। এদিন সকাল থেকে অবরোধস্থলে ছিলাম। পঞ্চায়েত সমিতির তরফে ১০০মিটার রাস্তা তৈরি হয়েছে। ২৫০মিটার রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। জেলা পরিষদের তরফেও রাস্তাটি পাকা করার চেষ্টা চলছে। মাপজোক করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের কাছেও প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তাড়াতাড়ি রাস্তাটি পাকা করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।-নিজস্ব চিত্র