নিজস্ব প্রতিনিধি, কৃষ্ণনগর: বর্ষায় নদীয়া জেলায় সব্জি চাষে ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে পটল চাষ নিয়ে জেলার চাষিরা চিন্তিত। তাঁরা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি ঠিক থাকলেও আগামী দিনে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়লে পটল চাষে বড় লোকসান হতে পারে।
চলতি বছরে নদীয়া জেলায় প্রায় ২০০০হেক্টর জমিতে পটল চাষ হয়েছে। বেশি জল জমে গেলে পটলগাছের শিকড় পচে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এতে ফলন মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। জেলা উদ্যানপালন বিভাগের আধিকারিক হৃষিকেশ খাঁড়া অবশ্য বলেন, জেলায় বেশিরভাগ সব্জি উঁচু জমিতে চাষ হয়। ফলে জল জমে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম। তবুও আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। এখনও পর্যন্ত বড় ক্ষতির রিপোর্ট আসেনি।
গত ২৪ঘণ্টায় নদীয়া জেলায় গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ১৮.৪১ মিলিমিটার। এরমধ্যে কৃষ্ণনগরে ৩৮.৩ মিলিমিটার, হাঁসখালিতে ৩২ মিলিমিটার, কৃষ্ণগঞ্জে ২৯ মিলিমিটার ও রানাঘাটে ২৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। অথচ আগের দিন গড় বৃষ্টিপাত ছিল মাত্র ৭.২৫ মিলিমিটার। হঠাৎ বর্ষার তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় চাষিদের দুশ্চিন্তা বেড়েছে।কৃষি আধিকারিকরাও মানছেন যে, এই খামখেয়ালি বৃষ্টি চাষের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। বিশেষত যেসব এলাকায় সঠিক জলনিকাশি ব্যবস্থা নেই সেখানে ঝুঁকি আরও বেশি। কৃষ্ণগঞ্জের চাষি বিজয় হালদার বলেন, আমরা পটল চাষ করেছি। এখনও পর্যন্ত যা বৃষ্টি হয়েছে, তাতে চাষ ভালোই হবে। কিন্তু এরপরও লাগাতার বৃষ্টি হতে থাকলে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। নিজস্ব চিত্র