নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: হিংলো ড্যাম থেকে জল ছাড়তেই দুবরাজপুর ও খয়রাশোলে দু’টি কজওয়ে জলমগ্ন হয়ে পড়ল। কজওয়ে সংলগ্ন একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা চরম সমস্যায় পড়েছেন। জানা গিয়েছে, প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ডে ভারী বৃষ্টির জেরে হিংলো ড্যাম থেকে জল ছাড়া হয়েছে। তাতেই শাল ও হিংলো নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পায়। শুক্রবার সকাল থেকেই শাল ও হিংলো নদীর উপর থাকা দু’টি কজওয়ের উপর দিয়ে চলাচল বন্ধ ছিল। বেলা গড়াতেই হিংলোর জলস্তর কমায় পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। তবে দুবরাজপুর ব্লকে শাল নদীর উপর থাকা কজওয়ে দিয়ে চলাচল বন্ধই ছিল। বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা ঘুরপথে চলাচল করছেন। দুবরাজপুর ব্লকের কুলেগুড়ির বাসিন্দা বিপিন মণ্ডল বলেন, কজওয়ে দিনভর জলমগ্ন থাকায় চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। কেউ জল পেরিয়ে যাতায়াত করছেন। কেউ আবার ঘুরপথে চলাচল করছেন। নদীর জলস্তর বাড়লেই আমাদের ভোগান্তির অন্ত থাকে না। প্রশাসনিকভাবে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা প্রয়োজন।
দুবরাজপুরের বালিজুড়ি পঞ্চায়েতের বেলসারা ও মেজে গ্রামের মাঝ বরাবর শাল নদী বয়ে গিয়েছে। দুই পাড়ের বাসিন্দাদের চলাচলের জন্য বছর দশেক আগে হিউম পাইপ বসিয়ে কজওয়ে করা হয়েছিল। কজওয়ে ধরে মেজে, বনকাঠি, কাপাসতোড়, ফুলবেড়িয়া, আগোয়া, আদমপুর, বালিজুড়ি, কুলেগুড়ি, পাঁচপুকুর সহ একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা যাতায়াত করেন। কজওয়ে জলের তলায় চলে যাওয়ায় বাসিন্দাদের প্রায় ১৫কিলোমিটার ঘুরে দুবরাজপুর শহর হয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। কেউ কেউ আবার ঝুঁকি নিয়ে জল পেরিয়েই যাতায়াত করছেন।
খয়রাশোল ব্লকের পানসিউড়ি ও কেন্দ্রগড়িয়া পঞ্চায়েতের মাঝ বরাবর বয়ে যাওয়া হিংলো নদীতে থাকা কজওয়ের উপর দিয়ে ভোর থেকেই থেকেই জল বইতে দেখা গিয়েছে। যদিও ৯টার পর জলস্তর কিছুটা নামতেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডে ভারী বৃষ্টির জেরে বৃহস্পতিবার রাত ৯টা নাগাদ হিংলো ড্যামের দু’টি গেট খুলে দেওয়া হয়। সকাল ৬টা পর্যন্ত জল ছাড়া হয়। দু’টি নদীতেই জলস্তর বৃদ্ধি পায়। প্রশাসন দু’টি নদীর তীরবর্তী এলাকা ও কজওয়েগুলির উপর নজরদারি চালাচ্ছে।
দুবরাজপুরের বিডিও রাজা আদক বলেন, নদীর জলস্তর বাড়ায় কজওয়ে জলমগ্ন হয়েছে। আপাতত কজওয়ে হয়ে চলাচল বন্ধ রয়েছে। সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে। খয়রাশোল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অসীমা ধীবর বলেন, সকালের দিকে কিছু সময় কজওয়ে জলমগ্ন ছিল। তবে ৯টার পর জল নেমে গিয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।