আলিপুরে অনুমোদন ছাড়া গাছ কেটেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ, কড়া পদক্ষেপ পুরসভার
বর্তমান | ০৫ জুলাই ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: একের পর এক কেটে ফেলা হয়েছে বড় বড় গাছ। অথচ কলকাতা পুরসভার উদ্যান বিভাগ কিংবা রাজ্য বনদপ্তরের কোনও অনুমোদন নেওয়া হয়নি। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে কলকাতা বন্দরের বিরুদ্ধে। গাছগুলি ছিল আলিপুর অ্যাভিনিউ এক্সটেনশনে। গাছ কাটা নিয়ে ইতিমধ্যেই চেতলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে পুরসভা। বন্দরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছে বনদপ্তরেও। বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ মেয়র ফিরহাদ হাকিমও। যেখানে শহরজুড়ে বৃক্ষরোপণ থেকে শুরু করে সবুজ বাঁচানোর চেষ্টা প্রতিনিয়ত করে চলেছে পুরসভা, সেখানে বন্দরের খামখেয়ালি ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মেয়র।
দুর্গাপুর ব্রিজের নীচে এক ধার দিয়ে সোজা হেঁটে গিয়ে মাঝেরহাট স্টেশনে যাওয়ার রেললাইন বরাবর রয়েছে এই রাস্তা। রাস্তার একধারে ফাঁকা জমি রয়েছে বন্দরের। সেখানেই ছিল একাধিক গাছ। রাস্তাটি আলিপুর অ্যাভিনিউ এক্সটেনশন নামে পরিচিত। কয়েকদিন আগেই সেখানে বড় বড় মেহগনি, কদম সহ ৮-১০টি গাছ আচমকা কেটে ফেলা হয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা পুরসভার কাছে অভিযোগ জানান। তখনই তা জানতে পারে পুর কর্তৃপক্ষ। খোঁজখবর শুরু হয়। বন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এক পুরকর্তা বলেন, বন্দর মৌখিকভাবে জানিয়েছে, তাদের ওই জায়গা লিজ দেওয়া হচ্ছে। নিজস্ব জায়গা তারা পরিষ্কার করছে, তার জন্য কোনও অনুমোদনের প্রয়োজন নেই বলেই মনে করে বন্দর। বিষয়টি জানতে পেরে প্রশাসনিক পদক্ষেপ করে পুরসভা। চেতলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে পুরকর্তারা সেখানে ভিজিট করেছেন। লিখিত অভিযোগের কপি সহ যাবতীয় রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে বনদপ্তরেও। বাকি আইনি প্রক্রিয়া বা জরিমানার যা নিয়ম রয়েছে, সেই বিষয়ে পদক্ষেপ করবে বনদপ্তর।
এই বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলার তথা কলকাতা পুরসভার ৯ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান দেবলীনা বিশ্বাস বলেন, স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন। তারপর খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, ওরা পুরসভা থেকে কোনও অনুমোদন নেয়নি। এত বড় বড় গাছ নির্বিচারে কেটে ফেলা হল। প্রশাসনিকভাবে পদক্ষেপ করা হয়েছে।
এই বিষয়ে কলকাতা বন্দরের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় বলেন, এমনটা তো হওয়ার কথা নয়। এই ধরনের কাজ হলে অনুমোদন নিয়েই করা হয়। বিষয়টি কী ঘটেছে, খোঁজখবর নিয়ে দেখছি। নিজস্ব চিত্র