নার্সিং হোমে দাদাগিরি বিজেপি নেতার। দায়ের হয়েছে অভিযোগ। শুক্রবার পুলিশি তলব পেয়েও হাজিরা এড়ালেন আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ মোহনপুর থানায় হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল কলকাতা হাইকোর্টের এই আইনজীবী তথা বিজেপি নেতার। কিন্তু সেই হাজিরার জন্য পুলিশের কাছে লিখিতভাবে সময় চেয়েছেন। তিনি কাজে ব্যস্ত আছেন বলে এই হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন।
প্রসঙ্গত এই বিজেপি নেতা বারাকপুর ওয়ারলেস মোড় সংলগ্ন একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে তাণ্ডব চালিয়েছিলেন। সেই অভিযোগে তাঁকে নোটিস দিয়ে ডেকে পাঠিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু পুলিশের তলবে সাড়া না দিয়ে কৌস্তভ জানিয়েছেন, তিনি কাজে ব্যস্ত আছেন।
পুলিশের এই তলব এড়ানো নিয়ে কৌস্তভ জানিয়েছেন, তিনি আদালত ও দলীয় কাজে ক’দিন খুবই ব্যস্ত আছেন। তাই সাত দিন সময় চেয়ে থানায় লিখিতভাবে জানিয়েছেন। তবে কৌস্তভ হাজিরা এড়িয়ে গেলেও পুলিশ বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে বলে সূত্রের খবর। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বেসরকারি হাসপাতালে তাণ্ডবের ঘটনায় কৌস্তভের সঙ্গে আর কারা জড়িত ছিল, তার তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ তাদেরও চিহ্নিত করে আইনি পদক্ষেপ শুরু করতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, চিকিৎসক দিবসের রাতে কৌস্তভের আঙুল উঁচিয়ে চিকিৎসকদের হুমকি, শাসানোর অভিযোগের প্রতিবাদে শুক্রবার সকালে সরব হয়েছে তৃণমূল। বারাকপুর পুরসভার ১০নম্বর ওয়ার্ডের ওল্ড ক্যালকাটা রোড সংলগ্ন কৌস্তভের বাড়ি। সেখানে শাসকদলের নেতা-কর্মীরা এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে। সেখানে পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তম দাস, ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রভাত ঘোষ-সহ একাধিক তৃণমূল কাউন্সিলর ও দলীয় কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
চেয়ারম্যান উত্তম দাস বলেন, ‘আমরা হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারি রোগী মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালের কোনও দোষ নেই। অকারণে লোক দেখানোর জন্য এক বিজেপি নেতা চিকিৎসকদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে হেনস্তা করেছে। এনিয়েই এদিন এলাকার মানুষকে জানানো হচ্ছে। বলা হল, এমন কোনও সমস্যায় পড়লে আমাদের জানাতে।’
যদিও তাঁর বাড়ির সামনে তৃণমূলের এই প্রতিবাদ কর্মসূচি করা নিয়ে সরব হয়েছেন কৌস্তভ। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি বা আমার পরিবার এ নিয়ে বিন্দুমাত্র ভীত-সন্ত্রস্ত নই। জানি ওদের কিভাবে জবাব দিতে হয়। তবে বাড়ির সামনে এমনটা করা উচিত হয়নি, অবশ্যই এনিয়ে পুলিশে অভিযোগ জানাব।’