• হলং বাংলো নিয়ে আশার আলো, বন দপ্তরে জমা পড়ল ডিপিআর
    এই সময় | ০৫ জুলাই ২০২৫
  • এই সময়, আলিপুরদুয়ার: গত বছর জলদাপাড়ার ঐতিহ্যবাহী হলং বাংলো পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল। তারপর থেকে কাঠের এই বাংলো পুনর্নিমার্ণের দাবি ওঠে। এ বার পূর্ত দপ্তরের করা ডিপিআর (ডিটেল প্রজেক্ট রিপোর্ট) জমা পড়ল বনদপ্তরের কাছে।

    সেই নকশা অনুযায়ী, আগের আদল বজায় রেখেই তৈরি হবে এই বাংলো। তবে নির্মাণ কাজে কাঠ-টিনের সঙ্গে ইট ও কংক্রিট ব্যবহার করা হবে। ঘরের সংখ্যা নিয়ে সামান্য ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে।

    আগের মতোই ৮ টি ঘর থাকবে, না কি ঘর বাড়ানোর হবে তা এখনও স্থির করতে পারেনি বনদপ্তর। ১৯৬৭ সালে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের কোর এলাকায় হলং নদীর ধারে এই কাঠের এই বনবাংলো তৈরি করা হয়। তারপর থেকেই পর্যটকদের অন্যতম ডেস্টিনেশন হয়ে উঠেছিল এই বাংলো।

    ২০২৪ সালের ১৮ জুন এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের এই বনবাংলোটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। অন্যদিকে ১৯৭২ সালের বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইন অনুসারে, দেশের যে কোনও সংরক্ষিত বনাঞ্চলের কোর এলাকায় নতুন করে কোনও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান তৈরির বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

    ফলে ওই বনবাংলোটি নতুন করে তৈরি করা নিয়ে সংশয় থেকে গিয়েছিল। কিন্তু ডিপিআর জমা পড়ার পরে উত্তরবঙ্গের বন্যপ্রাণ শাখার মুখ্য বনপাল ভাস্কর জেভি বলেন, ‘হলং বনবাংলো থেকে যে রোজগার আসত, তার পুরোটাই রাজ্যের কোষাগার থেকে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের বনসুরক্ষার কাজে লাগানো হতো।

    ফলে সেই অর্থে ওই ঐতিহ্যশালী বাংলোটি কখনই বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ছিল না। কারণ এই বাংলো থেকে আসা আয়ের টাকা রাজ্য সরকার নিজস্ব খাতে কোনওদিনই ব্যবহার করেনি। তাই বাংলোটি পুনরায় তৈরির ক্ষেত্রে আর আইনি জটিলতা থাকল না।’

    বনদপ্তরের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন, পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা মানুষরা। ইস্টার্ন ডুয়ার্স ট্যুরিজ়ম ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, ‘আমরাও চাই অবিকল আগের মতোই বাংলোটিকে তৈরি করা হোক। যে নীরবতা ছিল, সেটাই বজায় থাকুক।

    তবে বাড়তি আয়ের আশায় অযথা ঘরের সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়ে ভিড় বাড়ানোর পক্ষপাতি আমরা নই। তাতে জলদাপাড়ার জীববৈচিত্র্য ভীষণভাবে বিঘ্নিত হবে। আগের মতোই উডেন ফিনিসের স্থাপত্য ফেরানোর দাবি জানাচ্ছি।’

  • Link to this news (এই সময়)