• প্রশাসনিক উদ্যোগে বন্দি দশা থেকে মুক্তি শ্রমিকের
    এই সময় | ০৫ জুলাই ২০২৫
  • এই সময়, চন্দ্রকোণা: অবশেষে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ওডিশার ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে ছাড়া পেলেন শ্রমিক শেখ হানিফ আলি। গত ২৫ জুন বাংলাদেশি সন্দেহে চন্দ্রকোণার বেড়াবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা হানিফকে আটক করে ওডিশার কটকের বারাঙ্গা থানার পুলিশ। ২৬ জুন থেকে ডিটেনশন ক্যাম্পেই ছিলেন তিনি।

    হানিফের পরিবারের দাবি, তাঁর সব পরিচয়পত্রে তিনি চন্দ্রকোণার বাসিন্দা, সে প্রমাণ থাকলেও শুধুমাত্র বাংলায় কথা বলার জন্য তাঁকে বাংলাদেশি বলে সন্দেহ করে পুলিশ। তাঁদের আরও দাবি, হানিফের নাগরিকত্ব নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়।

    দাদাকে ফিরিয়ে আনতে ঘাটাল থানা, জেলা পুলিশ সুপার–সহ রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছিলেন তাঁর ভাই শেখ রিয়াজ আলি। হানিফের নাগরিকত্বের সব কাগজপত্র যাচাই করে ওডিশা সরকারের কাছে তাঁর মুক্তির আবেদন জানায় রাজ্য সরকার। তার ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার রাতে হানিফকে মুক্তি দিয়েছে বারাঙ্গা থানার পুলিশ।

    পরিবার সূত্রে খবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার কথা জানিয়েছেন হানিফ। সে খবর পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন তাঁর পরিবার। হানিফের স্ত্রী রাবেয়া খাতুনের কথায়, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন ও ঘাটাল মহকুমা পুলিশ এত তাড়াতাড়ি আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করলেন। ওঁদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।’

    হানিফের মুক্তির খবর পেয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদের চেয়ারম্যান সামিরুল ইসলাম বলেন, ‘খুব ভালো লাগছে, হানিফ আলি ফিরছেন। ঘটনাটি জানার পরে আমরা ওডিশা সরকারের সঙ্গে কথা বলে তাঁর মুক্তির দাবি জানাই। তাঁরা আমাদের দাবি মানবিকভাবে দেখেছেন।’ ঘাটালের মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাসের কথায়, ‘আমরা প্রশাসনিক ভাবে সবরকমের চেষ্টা করেছিলাম। তা সার্থক হলো।’

    অন্য দিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ বৃহস্পতিবার উড়িষ্যার মুখ্যসচিবকে একটি চিঠিতে বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ থেকে ওডিশায় যাওয়া বাংলাভাষী শ্রমিকদের কাজে বাধা দেওয়া চলছে। তা বন্ধ করতে হবে। অযথা তাঁদের নামের পাশে বাংলাদেশি তকমা দেওয়া উচিত নয়। প্রশাসন পশ্চিমবঙ্গ থেকে ভিনরাজ্যে যাওয়া শ্রমিকদের ওপর নজর রাখছে।’

  • Link to this news (এই সময়)