আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফুল তোলার অভিযোগে গৃহবধূকে কান ধরিয়ে ওঠবস। কর্মস্থলে গিয়ে অপমান। অবসাদে আত্মঘাতী হলেন এক গৃহবধূ। ঘটনায় অভিযোগের আঙুল নদীয়ার শান্তিপুর থানায় কর্মরত এক সিভিক ভল্যান্টিয়ারের পরিবারের বিরুদ্ধে। মৃতার পরিবারের তরফে ওই সিভিক ভল্যান্টিয়ার মিলন করাতি-সহ চারজনের নামে শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, গত ৪ জুলাই ভোররাতে শান্তিপুরের নৃসিংহপুর মধ্যপাড়া এলাকার বাসিন্দা সরস্বতী দে নামে এক গৃহবধূ ভোরে ওই সিভিক ভল্যান্টিয়ারের বাড়িতে ফুল তুলতে ঢোকেন। তিনি যখন ফুল তুলছিলেন তখন বাড়ির লোক বেরিয়ে এসে তাঁকে ধরে এবং যাচ্ছেতাই ভাষায় গালমন্দ করে বলে অভিযোগ। এখানেই না থেমে ওই গৃহবধূকে কান ধরে সকলের সামনে ওঠবস করানো হয়।
ওই গৃহবধূ একটি অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। অভিযোগ, বেলা গড়ালে তিনি যখন সেখানে যান তখন মিলন করাতির পরিবারের লোক সেখানে গিয়েও তাঁকে অপমান করে। শনিবার বাড়ির গোয়ালঘরে ওই গৃহবধূকে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলতে দেখা যায়। শান্তিপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
স্থানীয়দের অনুমান, অপমান সহ্য করতে না পেরে সরস্বতী দে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। যদিও পরিবারের তরফে অভিযোগ, অভিযুক্তরাই তাঁকে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে। বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। যদিও মিলন করাতির পরিবারের তরফে গোটা অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। মৃতার পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয় স্থানীয় থানায়।