প্রায় এক বছর পরে বৃহস্পতিবার ঘটা করে বিজেপির রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষিত হয়েছে। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় থেকে প্রথম সারির রাজ্য নেতৃত্বগণ। আর সেখানেই হিন্দু ধর্মের চরম অবমাননা হয়েছে বলে এবার আক্রমণ শানাল তৃণমূল। হিন্দুত্বের রক্ষাকর্তা হিসাবে নিজেদের দাবি করা বিজেপিই দেবতার ছবি ব্যবহার করছে রাজনৈতিক প্রচারের উদ্দেশ্যে, এমনই মত বাংলার শাসকদলের। নির্দিষ্ট ছবি দেখিয়ে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাজ্য বিজেপির সভাপতি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। কলকাতার সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মঞ্চের পেছনে এলইডি স্ক্রিনে দেখা গেল মা কালীর ছবি রয়েছে মাঝখানে। আর দু’পাশে রয়েছে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি। মা কালীর পাশেই স্থান দেওয়া হল প্রধানমন্ত্রীকে! ধর্মকে কলুষিত করার পদক্ষেপ এটি, এই অভিযোগ তুলে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সুর চড়াল তৃণমূল।
শশীর আক্রমণ, ‘রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চে নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রীদের ছবি থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু মাঝখানে মা কালীর ছবি কেন? মাকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করলেন! আবারও আমাদের ভাবাবেগে আঘাত হানলেন। বিজেপি রামচন্দ্রের নামে রাজনৈতিক স্লোগান তুলেছে, এবার তারা জয় মা কালী বলতে ব্যস্ত। মা কালী কখনও রাজনৈতিক স্লোগান হতে পারে?’ ক্ষুব্ধ কণ্ঠে তাঁর সংযোজন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, তিনি ভগবানের সন্তান। আবার পুরীর সাংসদ সম্বিত পাত্র বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভক্ত স্বয়ং জগন্নাথদেব। এরপরই ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে ভারতের মানুষ বিজেপির স্থান দেখিয়ে দিয়েছে। এখন বাংলায় মা কালীকে ব্যবহার করছেন আগামী বিধানসভা নির্বাচনের উদ্দেশ্যে? চিন্তা করবেন না, বাংলার মানুষ আবারও আপনাদের জবাব দেবেন এবং বিজেপির স্থান বুঝিয়ে দেবেন।’
সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের মিডিয়া সেলের তরফ থেকেও এর তীব্র নিন্দা করে জানানো হয়েছে, ‘বিজেপি একের পর এক ধর্মকে কলুষিত করে চলেছে! এটা এক ধরনের ধর্মনিন্দা। একে বিদ্বেষপূর্ণ আত্মগরিমার প্রকাশ বলতে হবে। ঈশ্বরের স্থানকে অধিকার করা, বিশ্বাসকে হাইজ্যাক করা এবং নরেন্দ্র মোদীকে ঈশ্বরের অবতার হিসাবে তুলে ধরাই ২০২৬-এ বিজেপির রোড ম্যাপ। এরা ভয়ংকরভাবে বাস্তবতার থেকে অনেক দূরে। আমরা বাংলায় মা কালীকে পুজো করি, কোনও ধার্মিকের মুখোশধারী ভোটপিপাসু অবিশ্বাসীকে নয়!’