‘স্থান-কাল-পাত্র দেখে হয় না, কসবায় যা ঘটেছে সামাজিক ব্যাধি’, মন্তব্য সায়ন্তিকার
প্রতিদিন | ০৫ জুলাই ২০২৫
সুমন করাতি, হুগলি: কসবায় কলেজে ছাত্রীর গণধর্ষণের ঘটনায় তোলপাড়। এই ইস্যুতে মুখ খুলে অভিযুক্তদের দুষলেন বরানগরের বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। অপরাজিতা বিল আইনে পরিণত করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
মাহেশে জগন্নাথ দর্শনে গিয়ে সায়ন্তিকা বলেন, “এই ধরনের ঘটনা কলেজ, হাসপাতাল, মন্দির ? যেকোনও জায়গায় ঘটতে পারে। কারণ, এটা ব্যক্তি মানসিকতার উপর নির্ভর করছে। সামাজিক ব্যাধি। এটা স্থান-কাল-পাত্র দেখে হয় না। আমি আপনাদের মাধ্যমে আবারও জানাব আমরা যে অপরাজিতা বিল পাশ করেছি সেটা তাড়াতাড়ি যদি রাষ্ট্রপতি পাশ করে দেন তাহলে দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করা যাবে। যদি আমরা সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে পারি এই ধরনের অপরাধে তাহলে মনে হয় অপরাধ কমবে। সামাজিক ব্যাধিতে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া উচিত।”
বলে রাখা ভালো, আগস্টে আর জি করের ঘটনার পর সেপ্টেম্বরেই বিধানসভায় ‘অপরাজিতা উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড (ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্রিমিনাল ল’ অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৪’ পেশ করে শাসকপক্ষ। নারী নিরাপত্তার মতো গুরুতর বিষয় হওয়ায় বিজেপিও এই বিলের বিরোধিতা করেনি। সর্বসম্মতি বিলটি পাশ হয়ে যায়। বিলের প্রস্তাব অনুযায়ী, ধর্ষণ, শ্লীলতাহানির মতো নারীবিরোধী অপরাধের দ্রুত তদন্ত, দ্রুত ন্যায়বিচার এবং কঠোরতম শাস্তি – এই তিনটির পক্ষে দ্রুত সওয়াল করা হয়েছে। ২১ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে ৩০ দিনের মধ্যে চার্জশিট জমা দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে। সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে প্রাণদণ্ড এবং ন্যূনতম সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে এই বিলে। এটি বিধানসভায় পাশ করা হলেও রাষ্ট্রপতি সই না করায় তা আইনে পরিণত করা যায়নি। কসবা কাণ্ডের পর এই ইস্যুতে সরব শাসক শিবির।