বছর দুই আগে ‘নাক’-এর মূল্যায়নে এ++ গ্রেড পেয়ে তাক লাগিয়েছিল বেহালা কলেজ। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ আর কোনও কলেজ এত ভাল করেনি। ‘নাক’ কর্তৃপক্ষ তখনই বেহালা কলেজকে স্বশাসিত কলেজের মর্যাদার জন্য আবেদনের সুপারিশ করেন। এবার তাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে সেই মর্যাদায় সিলমোহর দিল ইউজিসি। ইউজিসি-র যুগ্মসচিব মনোজ কুমার বুধবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে চিঠিতে ৩০ দিনের মধ্যে নির্দেশিকাদিতে বলেছেন। রাজ্যের শিক্ষাসচিবকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে। উচ্চ শিক্ষা দফতরের শীর্ষ মহল এই স্বীকৃতিতে অভিনন্দন জানিয়েছে।
রাজ্যের সরকারি বা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজের মধ্যে স্বশাসিত মর্যাদা লাভের নজির খুব বেশি নেই। ‘নাক’-এর সুপারিশের পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আবেদন করেন বেহালা কলেজ কর্তৃপক্ষ। সেখান থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন আসার প্রক্রিয়া চলছিল। ইতিমধ্যে সরাসরি ইউজিসির কাছে আবেদন করে স্বীকৃতি পায় বেহালা কলেজ। চলতি শিক্ষাবর্ষে অবশ্য স্নাতকে সরকারি পোর্টাল মারফতই ভর্তি শুরু হয়েছে এই কলেজে। অধ্যক্ষা শর্মিলা মিত্র বলেন, ‘‘স্নাতকোত্তরে আমরা নিজেরাইভর্তি করাব। সারা দেশের শিক্ষাবিদদের পরামর্শে পাঠ্যক্রম ঢেলে সাজানো হবে।’’ নিয়ম অনুযায়ী,দশ বছর স্বশাসনে সাফল্য মিললে ডিমড বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারে বেহালা কলেজ।
শিক্ষাজগতের সঙ্গে পেশাগত পরিসরকে মেলানোর সাফল্যে ইউজিসি-র সাধুবাদ পায় বেহালা কলেজ। এন্ট্রি ইন সার্ভিস প্রকল্পেসব শিক্ষার্থীর জন্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার তালিমের ব্যবস্থাহয়েছে। ড্রোন পাইলট ট্রেনিং, ডিফেন্স স্টাডির মতো পাঠ্যক্রম চালু আছে কলেজে। শিক্ষকদের গবেষণার কাজেও উৎসাহ দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্টদের আশা, প্রশাসনিক স্বাধীনতার ক্ষেত্রেও এ বার অনেকটা এগোতে পারবে বেহালা কলেজ।