• নিউ টাউনে পড়ে থাকা জমির কর গ্রহণ
    আনন্দবাজার | ০৫ জুলাই ২০২৫
  • অবশেষে নিউ টাউনে জঙ্গলে ভরা জমির সমস্যার সুরাহার পথে নামল নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এনকেডিএ)। তারা জানাচ্ছে, জমি নেওয়ার পরেও বছরের পর বছর নির্মাণ হয়নি, জঙ্গলে ভরে গিয়েছে, তেমন জমিরক্ষেত্রে কর নেওয়া শুরু হবে। এমন ভাবে পড়ে থাকা জমির একহাজার জন মালিককে এই মর্মে নোটিস পাঠানো শুরু করেছে এনকেডিএ। তারা জানাচ্ছে, কলকাতা পুর এলাকায় এই ভাবে ফাঁকা জমি পড়ে থাকলে চড়া হারে কর নেওয়া হয়। এনকেডিএ-র করের হারততটা উচ্চ হারে না হলেও, ফাঁকা জমি ফেলে রাখলেও সম্পত্তিকর নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। এ বার সেই ব্যবস্থা নিউ টাউনেও চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক।

    এনকেডিএ জানাচ্ছে, ১০২৬টি ফাঁকা জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই সব জমির মালিকেরা জমি পাওয়া ইস্তক এ পর্যন্ত কোনও কর দেননি বলেই অভিযোগ। যে কারণে ওই সব মালিকদের নিজেদেরই জমির পরিমাণ নির্ধারণ করে বকেয়া কর দিতে বলেছে এনকেডিএ। নোটিস পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যেই বকেয়া কর দিতে হবে। তা না-হলে এনকেডিএ নিজের মতো করে মূল্য নির্ধারণ করে বিল পাঠানো শুরু করতে পারে বলেই খবর।

    এমন তৎপরতার কারণ প্রথমত, ভাল পরিমাণ রাজস্ব আদায় এবং সেই সঙ্গে বড় বড় জমিতে ঘন জঙ্গলের কারণে ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়ার মশার জন্ম ঠেকানো। এই বছরের শুরুতেই নিউ টাউনে এমনই একটি জঙ্গলে ভরা পরিত্যক্ত জমিতে এক নাবালিকাকে খুন ও ধর্ষণ করে ফেলে দিয়ে যায় এক ই-রিকশা চালক। সেই জমিটি ছিল একটি সরকারি জমি। এর পরে দেখা যায়, সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে বহু জমিরই ওই রকম বেহাল অবস্থা। জঙ্গলাকীর্ণ জমিতে মাদকাসক্তদের আড্ডা বসারও একাধিক বার অভিযোগ উঠেছে।

    এনকেডিএ জানাচ্ছে, চিহ্নিত ১০২৬টি জমির মধ্যে বাণিজ্যিক সংস্থা এবং ব্যক্তিগত— দু’ধরনের জমিই রয়েছে। এক আধিকারিক বলেন, ‘‘বছরের পর বছর ওই সব জমির জঙ্গল কাটতে বিপুল খরচ হয়। আমরা কর আদায় করি না বলেই হয়তো এ ভাবে নিশ্চিন্তে জমি ফেলে রাখা হয়েছে। কলকাতা পুর এলাকায় আবর্জনা কিংবা জঙ্গলে ভরা জমি পড়ে থাকলে, তা পরিষ্কার করতে চড়া কর দিতে হয়। আমাদেরও জঙ্গল সাফ করতে হলে সেই টাকা জমির মালিকদের থেকে তোলা হবে।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)