'দীপ্সিতাও মহুয়ার তালে তাল মেলাচ্ছেন', ফের কটাক্ষ কল্যাণের, কারণ কী?...
আজকাল | ০৬ জুলাই ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: শনিবার মাহেশের উল্টোরথে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্য মেজাজে দেখা গিয়েছে আজ তাঁকে। তবে বিরোধীদের কটাক্ষ করতে পিছপা হননি। এদিন উৎসবের আবহেই তিনি বলেন, 'আমি শুনলাম দীপ্সিতা ধর নাকি আমার বিরুদ্ধে নানারকম কথা বলছেন। সে বলুন। এখন গায়ে জ্বালা তো হবেই। ম্যাডাম কানাইপুরে যে মেয়েটি ধর্ষিতা হয়ে খুন হল, তখন তো এলেন না।
আর পাপিয়া অধিকারী না কে আছেন একজন অভিনেত্রী। তিনি নাকি বলেছেন, আমাকে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে মারবেন। কোথায় মারবেন বলুন না! কলকাতা শহরে এয়ার কন্ডিশান ঘরে বসে বড় বড় বিপ্লব দেখানো যায়। কেন্দ্রে সৃজন নিয়ে নিলেন, এখানে মিনাক্ষী নিয়ে নিলেন, এখন দীপ্সিতার খুব রাগ আমার উপরে। ও আবার মহুয়ার তালে তাল মেলাচ্ছেন।'
একুশে জুলাইয়ের আগে দমদমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভা রয়েছে। সেই প্রসঙ্গে কল্যাণ বলেন, 'ভারতবর্ষের যিনি প্রধানমন্ত্রী, তিনি একেবারেই ব্যর্থ প্রধানমন্ত্রী। শুধু হ্যান করেঙ্গা, তেন করেঙ্গা। কাজের বেলা অষ্টরম্ভা। তেলেঙ্গানায় কারখানায় ৩০ জন মারা গেছেন। নরেন্দ্র মোদির কী করলেন!'
কলেজে অস্থায়ী চাকরি নিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি নেতা যাঁরা, তাঁদের সেই ইনস্টিটিউশনে অস্থায়ী চাকরি করা উচিত নয়। যদি দিতেই হয় তৃণমূলের অন্য কর্মী আছেন, তাঁদের দিক না।
উত্তরপাড়া কলেজ নিয়ে যাঁরা বলছেন, সিপিএমের আমলে কারা কারা চাকরি পেয়েছেন সব বলে দিতে পারি।' এরপর নাম ধরে ধরে তৃণমূল সাংসদ জানিয়ে দেন সিপিএমের আমলে কারা চাকরি পেয়েছিলেন এবং তাঁরা এখন স্থায়ী চাকরি করছেন। সিপিএম জামানায় সব সিপিএমের নেতাদের চাকরিতে ঢুকিয়ে দিয়ে গেছে।
সাংসদ বলেন, 'এরা তো সব ৩০ সাল পর্যন্ত চাকরি করবে৬। তাহলে আমাদের লোক ঢুকবে কোথায়। বিজেপির তখন জন্ম হয়নি। সিপিএম সব চাকরি দিয়ে চলে গেছে।'