নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: মাহেশ থেকে গুপ্তিপাড়া, উল্টোরথে বিপুল ভক্ত সমাগম। সকাল থেকেই ভক্তদের ভিড় গুপ্তিপাড়া, মাহেশে। সময় যত গড়িয়েছে তত বেড়েছে মানুষের সংখ্যা। মাহেশে জিটি রোডের ধারে জগন্নাথের মাসির বাড়ি, কুঞ্জবাটি। অন্যদিকে গুপ্তিপাড়া বড়বাজারে সেখানকার জগৎপতির মাসির বাড়ি। এদিন মাসির বাড়ি থেকে উল্টোরথে দুই মন্দিরে ফিরেছেন জগন্নাথ। মাহেশে উল্টোরথে জগন্নাথ দক্ষিণাকালী রূপে বিরাজ করেন। জনশ্রুতি, জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রাকে ছুঁয়ে দেখা যায়। এদিন সেই কারণেও ব্যাপক ভিড় জমেছিল হুগলির ঐতিহ্যবাহী দুই রথের অনুষ্ঠানে। মাহেশে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, বরানগরের বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রীরামপুরের বিধায়ক সুদীপ্ত রায় প্রমুখ।
৬২৯ বছরে পা দেওয়া মাহেশ বা দ্বিশতবর্ষ পার করা গুপ্তিপাড়াতেই শুধু নয়, ভিড় দেখা গিয়েছে চন্দননগরের যাদুবাবু থেকে চুঁচুড়ার একাধিক উল্টোরথের আয়োজনেও। মোটামুটি সব জায়গায় ছোটখাট মেলার আয়োজন হয়েছিল। ভিড় সামাল দিতে পুলিস কড়া নিরাপত্তার আয়োজন করেছিল। মাহেশ ও গুপ্তিপাড়া, দুই জায়গাতেই জলপথে আসেন ভিন জেলার ভক্তরা। সে কারণে জলপথেও ছিল কড়া নজরদারি। এদিন হুগলি জেলাতে উল্টোরথ নির্বিঘ্নে পালিত হয়েছে। মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরের সেবায়েত পিয়াল অধিকারী বলেন, বিপুল ভক্ত সমাবেশে জগৎপতি এদিন তাঁর মন্দিরে ফিরেছেন। আমাদের দারুবিগ্রহ ৬২৯ বছর ধরে একইরকম আছে। রথযাত্রার পর জগন্নাথ দর্শনে বিপুল ভক্ত সমাগম হয়েছিল। উল্টোরথের পর মাহেশে কিছু অনুষ্ঠান ও আচারপর্ব থাকে। লক্ষ্মীদেবীর মানভঞ্জন পালা আছে। তা সুষ্ঠুভাবে পালিত হবে। গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রা আয়োজক কমিটির অন্যতম সদস্য বিশ্বজিৎ নাগ বলেন, নির্বিঘ্নে উল্টোরথ পর্ব মিটেছে। স্থলপথে ও জলপথে প্রচুর ভক্ত সমাগম হয়েছিল।
জনশ্রুতি, উল্টোরথে জগন্নাথ মাসির বাড়ি থেকে মন্দিরে ফেরেন। সেই যাত্রা দর্শন করলে পুণ্যলাভ হয়। বিশেষ করে মাহেশে জগন্নাথ, বলভদ্র সহ সকলেই আদিশক্তির নানা রূপে বিরাজ করেন। পাশাপাশি জগৎপতি ফিরবেন নিজ মন্দিরে। ফলে সকাল থেকেই নানা রকমের পুজোর আয়োজন ছিল মাহেশ থেকে গুপ্তিপাড়ার মন্দিরে। ভক্তদের ভিড় সকাল থেকেই শুরু হয়েছিল। তারপর অগণিত ভক্তের ভিড় ঠেলে ঘরে (মন্দিরে) ফেরেন জগৎপতি।