• শ্বেতার বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা! হাওড়ায় নির্যাতন ও পর্নকাণ্ডে ধৃতের বিভিন্ন নামে আধার এবং ভোটার কার্ড
    আনন্দবাজার | ০৫ জুলাই ২০২৫
  • এলাকার লোকজন তাঁকে চেনে ফুলটুসি নামে। কাজের জগতে তিনি শ্বেতা নামে পরিচিত। আবার পুলিশের খাতায় তিনি-ই মোহসিনা বেগম। হাওড়ার পর্ণকাণ্ড এবং তরুণীকে নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেফতার শ্বেতার বিরুদ্ধে এ বার জালিয়াতির মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

    বাঁকড়ার বাসিন্দা শ্বেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বিভিন্ন নামে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড এবং প্যান কার্ড বানিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, ওই সব পরিচয়পত্র এবং নথি দিয়ে বিভিন্ন ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন ওই মহিলা। কী জন্য ওই কাজ করেছিলেন, সে সব জানতে শ্বেতাকে হেফাজতে চায় পুলিশ। শনিবার আদালতের কাছে আবেদন জানান তদন্তকারীরা। শেষ পর্যন্ত বিচারক তাঁকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

    পুলিশ সূত্রে খবর, উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরের তরুণীকে নির্যাতন এবং পর্নকাণ্ডে শ্বেতাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তা ছাড়াও এই জালিয়াতির অভিযোগের তদন্ত হবে। এ ছাড়াও শ্বেতার আরও একটি ফোন নম্বরের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। সেই মোবাইলটি বাজেয়াপ্ত করতে চায় তারা।

    উল্লেখ্য, তরুণীকে চাকরি দেওয়ার নাম করে শারীরিক হেনস্থার অভিযোগে গ্রেফতার হন শ্বেতা এবং তাঁর পুত্র-কন্যা। অভিযোগ, হাওড়ার বাঁকড়া এলাকার ফকিরপাড়ার ফ্ল্যাটে সোদপুরের বাসিন্দা এক তরুণীকে আটকে রেখে শারীরিক অত্যাচার ও যৌন নির্যাতন চালিয়েছেন মা-ছেলে। তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের চাকরি দেবেন বলে তাঁদের মেয়েকে জোর করে পানশালায় কাজ করিয়েছিলেন আরিয়ান এবং তাঁর মা শ্বেতা। পরে পর্ন ভিডিয়োয় অভিনয় করানোর চাপ দেওয়া হত। রাজি না-হওয়ায় তরুণীকে অকথ্য অত্যাচার করেছেন মা-ছেলে। দিনের পর দিন তাঁকে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করা হয় বলেও অভিযোগ।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)