মদের আসরে অশান্তির জেরে খুন হলেন এক যুবক। মৃতের নাম – বাপি হালদার। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বেহালার ঠাকুরপুকুর থানা এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, খুনের তথ্যপ্রমাণ জোগাড়ের প্রক্রিয়া চলছে। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলের ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়েছে। এই খুনের ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। কী কারণে মারধর করা হলো বাপিকে? নেপথ্যে কি পুরোনো শত্রুতা? উঠছে প্রশ্ন।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাতভর সখেরবাজার সুপার মার্কেটের বারান্দায় বসে মদ্যপান করেন বাপি অধিকারী, কৃষ্ণ জানা এবং তাঁদের আরও দুই বন্ধু। সকালে মদের টাকা কে দেবে, সেই নিয়ে বচসা শুরু হয় দু’জনের ৷ এরপরেই নিজেদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় বলে অভিযোগ। কৃষ্ণ এবং বাপির মধ্যে মারামারি হয়। ওই সময় কৃষ্ণ তাঁর বাবা দীপু জানাকে ডেকে আনেন। এর পর বাবা-ছেলে মিলে বাপিকে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ।
শরীরের বেশ কিছু জায়গায় গুরুতর চোট লাগে বাপির। স্থানীয়েরা তাঁকে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসক ওই যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে যায় ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ। অভিযুক্ত দু’জনকেই বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। নিহত বাপি অধিকারীর বাড়ি ঠাকুরপুকুর থানার দত্তের মাঠ এলাকায়। আর অভিযুক্তদের বাড়ি বেহালা সখেরবাজারের জনকল্যাণে।
কলকাতা পুলিশের ডিসি (দক্ষিণ-পশ্চিম) রাহুল দে বলেন, ‘মদের টাকার ভাগ নিয়ে বচসা হয় বন্ধুদের মধ্যে। তার জেরে এক বন্ধু তাঁর বাবাকে ডেকে এনে বাকিদের উপর হামলা চালান বলে অভিযোগ। দু’জন পালিয়ে গেলেও বাপি অধিকারীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত কৃষ্ণ জানা ও তাঁর বাবা দীপু জানাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তে গিয়েছে। রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ বলা যাবে।’