জগতের নাথ যিনি, তিনি জগন্নাথ। রথযাত্রার পরে এবার বিশাল সমারোহে পালন উল্টো রথও। মাসির বাড়ি থেকে ঘুরে নিজের মন্দিরে আসবেন প্রভু জগন্নাথ। এই উল্টো রথের আবহে বিরাট আয়োজন এবার দিঘার জগন্নাথ মন্দিরেও। লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থীদের ভিড়ে উৎসবের মেজাজে মন্দির চত্বর। এই ভিড় সামাল দিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থায়ও নেওয়া হয়েছে কড়াকড়ি। দর্শনার্থীদের কোনো সমস্যা যাতে না হয় তাই মোতায়েন করা হয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্মীদের। রয়েছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সও।
উল্টো রথ যাত্রায় রয়েছে বিভিন্ন অনুষ্ঠানসূচি। শনিবার মাসির বাড়িতে দুপুরের রাজভোগ নিবেদনের পর মন্দিরের উদ্দেশে রওনা দেয় রথ। রথের রশিতে টান থেকে শুরু করে যাবতীয় প্রথা মেনেই সম্পন্ন হবে উল্টো রথ। দিঘার মূল মন্দিরে প্রবেশের পর তিনদিন রথেই থাকবেন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। নিয়ম মেনে সেখানেই চলবে পূজাপাঠ, ভোগ নিবেদন। সেখানেই দর্শনার্থীরা দর্শন করতে পারবেন বিগ্রহ। পুজোও দিতে পারবেন সেখানে।
এই উল্টো রথের জেরে দিঘায় জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিঘার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে একাধিক নিরাপত্তা কর্মসূচির নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই অনুযায়ী মাসির বাড়ি থেকে জগন্নাথ মন্দির পুরো চত্ত্বরটা মুড়ে ফেলা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। ওয়াচ টাওয়ার থেকেও চলবে নজরদারি। ড্রোন দিয়েও পর্যবেক্ষণ রাখা হবে। এছাড়া দর্শনার্থীদের সুরক্ষার্থে রয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্মীরা। থাকবে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স।
শুক্রবার বিকেল থেকেই পর্যটকদের ভিড় জমতে শুরু করেছে সমুদ্রপাড়ে। ইতিমধ্যেই অধিকাংশ হোটেল হাউসফুল হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী দিঘায় এসে পৌঁছেছেন। বিদ্যুৎমন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস, দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু,অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিষ চক্রবর্তী দিঘায় পৌঁছেছেন। সৈকতপাড়ের দায়িত্বে থাকা ডিএসপি ডি এন্ড টি আবুনূর হোসেন বলেন, উল্টো রথে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বাঁশের ব্যারিকেডের ওপাশে দর্শনার্থীরা থাকবেন। এছাড়া নিরাপত্তার জন্যও একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।