বঙ্গোপসাগরে ইলিশ মাছ ধরে ফেরার সময় মাঝসমুদ্রে দেখা দেয় চরম বিপত্তি। ১৩ জন মৎস্যজীবীসহ ‘ভাই ভাই’ ট্রলারটিতে, পাইপ ফেটে জল ঢুকে পড়ে। ট্রলারটির ভরাডুবি হয় সমুদ্রে। সৌভাগ্যবশত সেই সময় অন্য একটি ট্রলার কাছাকাছি ছিল। সেই ট্রলারের সহায়তায় নিরাপদে জল থেকে উদ্ধার করা হয় ডুবে যাওয়া ট্রলারের ১৩ জন মৎস্যজীবীকে। এই ঘটনায় প্রাণহানি ঘটেনি কোনো মৎস্যজীবীর।
২৭ জুন, রথের দিন ১৩ জন মৎস্যজীবী দক্ষিণ ২৪ পরগণার রায়দীঘি থেকে গভীর সমুদ্রের দিকে রওনা হয়েছিলেন ‘ভাই ভাই’ নামের একটি ট্রলারে করে ইলিশ মাছ ধরতে। এক সপ্তাহ পর মাছ ধরে ১৩ জন ফিরিছিলেন উলটো রথের দিন। ফেরার পথে যাত্রীসহ ট্রলারটি পড়ে বিপাকে। ট্রলারটির নিচে পাটাতনের গায়ে লাগানো হোস পাইপ ফেটে যায়। পাইপ ফেটে যাওয়ার ফলে হু হু করে জল ঢুকতে থাকে ট্রলারের ভিতর এবং কিছুক্ষণের মধ্যে ট্রলারটি জলে ডুবে যায়।
ওই সময়ে কাছাকাছি ছিল অন্য একটি ট্রলার। ট্রলারটির নাম ‘আব্বা মায়ের দোয়া’। অনতিদূরে একটি ট্রলারে ১৩ জন মৎস্যজীবীকে বিপদের মুখে পড়তে দেখে এই ট্রলারটি তাঁদের উদ্ধার করতে এগিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকার্যে লেগে পড়েন ‘আব্বা মায়ের দোয়া’ ট্রলারটির যাত্রীরা। একে একে ১৩ জন মৎস্যজীবীকেই নিরাপদে জল থেকে উদ্ধার করা হয়। ডুবে যাওয়া ‘ভাই ভাই’ ট্রলারটিকে যদিও উদ্ধার করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
রায়দীঘি ফিশারমেন ওয়েলফেয়ার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অলোক হালদার বিপাকে পড়া ১৩ জন মৎস্যজীবীর দুশ্চিন্তাগ্রস্ত পরিবারকে জানিয়েছেন যে ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে ১৩ জন মৎস্যজীবীকেই উদ্ধার করে রায়দীঘি ঘাটে আনা হয়েছে। ওঁরা সকলেই সুস্থ আছেন তবে ট্রলারটি ডুবে গিয়েছে। সেটিকে জল থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।