'তৃণমূল আজ যা ভাবে অন্যরা…' শমীককে 'প্রতীক' খোঁচা কুণালের
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৬ জুলাই ২০২৫
দল আগে নাকি নেতাদের মুখ আগে? দলের প্রতীক আগে নাকি নেতা নেত্রীদের মুখ আগে? বাংলার রাজনীতিতে ইদানিং এই কথাটা মাঝেমধ্যেই ওঠে। একাধিক ক্ষেত্রে দেখা যায় দলের প্রতীক ক্রমশ ছোট হয়ে যায়। সেখানে বড় হয়ে দেখা দেয় নেতা নেত্রীদের মুখ। একেবারে দক্ষিণ ভারতীয় কায়দায় নেতা নেত্রীদের বিরাট বিরাট কাট আউটও দেখা যায় বাংলার বিভিন্ন রাস্তায়। শুধু শাসকদল নয়, বিরোধীদের মধ্য়েও কমবেশি এই প্রবণতা রয়েছে। কোথায় কার কত বড় ছবি থাকবে তা নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতা চলে। এমনকী রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, কিছুদিন আগেও ক্যালেন্ডারে কার ছবি বড় করে থাকবে, কার ছবি ছোট তা নিয়েও শাসকদলের অন্দরে নানা বিতর্ক দানা বেঁধেছিল।
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজ্য সভাপতি হিসাবে শমীক ভট্টাচার্য দায়িত্ব পাওয়ার পরে আচমকাই বদলাচ্ছে বঙ্গ বিজেপির ইমেজ। একাধিক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে শমীক ভট্টাচার্য যেখানে সাংবাদিক বৈঠক করছেন তার পেছনের ব্যানারে নেতাদের মুখের বিরাট বিরাট ছবি আর নেই। সেখানে জায়গা পেয়েছে বিজেপির প্রতীক পদ্মফুলের ছবি। গত কয়েকদিন আগেও এই ছবিটা বিশেষ দেখা যেত না।
আর এনিয়েই এবার খোঁচা দিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন,' কপি ক্যাট। আজ তৃণমূল যা ভাবে অন্যরা কাল সেটাই অনুসরণ করে। দলের প্রতীক সবার আগে।' লিখেছেন কুণাল ঘোষ।
নীচে পরপর দুটি ছবি দেওয়া রয়েছে। একদিকে সাংবাদিক সম্মেলনে কুণাল ঘোষ ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তার পেছনে জ্বলজ্বল করছে তৃণমূলের ঘাসফুল প্রতীকের ছবি। অন্যদিকে অপর একটি ছবি সেখানে বিজেপির সাংবাদিক বৈঠক। সেখানে বসে রয়েছেন শমীক ভট্টাচার্য। আর তার পেছনে যে ব্যানার সেখানে কারোর ছবি নেই। সেখানে লেখা ভারতীয় জনতা পার্টি পশ্চিমবঙ্গ। সেই সঙ্গেই রয়েছে দলীয় প্রতীক পদ্মফুলের ছবি।
কুণালের এই পোস্টের জবাবে এক নেটিজেন লিখেছেন, 'সভাপতির যাত্রা শুরু হয়েছে জনগণের গর্জন বাংলা বিরোধীদের বিসর্জন। এই স্লোগানের কপি ক্যাট করে। এরকমই চলবে।'