• প্ল্যাটফর্মে একা বসেছিল কিশোরী, জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বড় রহস্য ফাঁস শিয়ালদহ RPF-এর
    এই সময় | ০৭ জুলাই ২০২৫
  • শিয়ালদহ স্টেশনের ১২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে একা বসেছিল কিশোরী। মুখে ভয়ের ছাপ। অভিভাবক নেই সঙ্গে। কে মেয়েটি? সন্দেহ হয় আরপিএফের। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। কথায় কথায় বেরিয়ে আসে ভয়ঙ্কর তথ্য। বড় পাচার চক্রের হদিশ পেল রেল পুলিশ। নারী পাচারের অভিযোগে ইতিমধ্যেই দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম আকলিমা খাতুন মোল্লা (৪৭) এবং মারিয়ম বিবি (৩৯)। এঁরা মূলত ‘ট্রান্সপোর্টার’-এর কাজ করতেন বলেই প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে রেল পুলিশ।

    রেল সূত্রে খবর, শিয়ালদহ মেন শাখার অ্যান্টি-হিউম্যান ট্র্যাফিকিং ইউনিট (AHTU)-এর একটি দল রুটিন চেকিং-এর সময়ে ওই কিশোরীকে খুঁজে পায়। জিজ্ঞসাবাদ করে জানা যায়, ক্যানিং থেকে দিল্লিতে একটি ভালো চাকরির লোভ দেখিয়ে তাকে আনা হয়েছে। আত্মীয়র মাধ্যমে এক অচেনা মহিলার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল, তার মা-বাবার সম্মতিতেই।

    কে তাকে নিয়ে এসেছে, তাঁর খোঁজ শুরু করে পুলিশ। আরপিএফ কিছুক্ষণের মধ্যেই আকলিমা খাতুন মোল্লাকে খুঁজে পায়। তাঁকে জিজ্ঞাসা করে জানা যায়, কিশোরীকে মারিয়ম বিবির হাতের তুলে দেওয়ার সুযোগ খুঁজছিলেন ওই মহিলা। মারিয়ম বিবিকেও দ্রুত আটক করা হয়। মারিয়ম জিজ্ঞসাবাদের সময়ে জানান, তিনি একজন ‘ট্রান্সপোর্টার’ হিসেবে কাজ করেন। ওই কিশোরীকে দিল্লিতে ‘নাসির’ নামে এক ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল তাঁর।

    শিয়ালদহ ডিআরএম রাজীব সাক্সেনা বলেন, ‘এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযান। যা একটি নিষ্পাপ প্রাণকে অন্ধকার ভবিষ্যতের হাত থেকে রক্ষা করেছে। RPF-এর তৎপরতা এবং সতর্কতার ফলেই এই পাচারচক্রকে ধরা সম্ভব হয়েছে।’

    উদ্ধারকৃত কিশোরী এবং দুই অভিযুক্তের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় NRS হাসপাতালে। সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি-সহ শিয়ালদহ সরকারি রেল পুলিশ স্টেশনে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। এই পাচার চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত তা জানতে তদন্ত চলছে। মানব পাচার রোধে বিভিন্ন রেল স্টেশনে ‘Operation Nanhe Fariste’ চালায় রেল। পাচার রুখতে কড়া নজরদারি রয়েছে স্টেশনগুলিতে বলে জানিয়েছে রেল।

  • Link to this news (এই সময়)