বৃদ্ধাকে মার জমি হাঙরদের, হাসপাতাল থেকে ফেরার পর পুড়িয়ে মারার হুমকি
বর্তমান | ০৭ জুলাই ২০২৫
সংবাদদাতা, হরিশ্চন্দ্রপুর: ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধার শেষ সম্বল জমি দখল করে নেওয়ার অভিযোগ। বাধা দিতে গেলে বৃদ্ধাকে মারধর ও দা দিয়ে বাড়ির টিনের বেড়া কেটে দেওয়ার অভিযোগ। দু’দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর বাড়ি ফিরতেই বৃদ্ধা ও তার মেয়ে-জামাইকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার হুমকি। হরিশ্চন্দ্রপুরের পাড়ো গ্রামের এই বৃদ্ধা এখন অসহায়ভাবে আতঙ্কে রয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় বাসিন্দা কুরবান আলি ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন হরিশ্চন্দ্রপুর ১ এর ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক উদয় ভট্টাচার্য। বলেছেন, পাট্টার জমি কখনও বিক্রি বা হস্তান্তর হয় না।
বৃদ্ধা জাহেদা খাতুনের স্বামী বহু বছর আগে মারা গিয়েছেন। তার দু ছেলে ও চার মেয়ে। সকলের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ছেলেদের সঙ্গে থাকেন না জাহেদা। তাঁরা শ্বশুরবাড়িতে থাকেন। শেষ সম্বল পাট্টার পাঁচ শতক জমিতে কাঁচা বাড়ি করে এক মেয়ে ও জামাইকে নিয়ে থাকছেন বৃদ্ধা। অভিযোগ, গত শুক্রবার কুরবান আলি পাট্টার জমিটি দখল করে পাকা বাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেন। বৃদ্ধা ও তাঁর মেয়ে-জামাই কাজে বাধা দিলে বৃদ্ধাকে মারধর করে কুরবান ও তার পরিবার। দু’দিন হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর শনিবার রাতে বাড়ি ফিরে এলে ঘরে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে মারার হুমকি দেয় কুরবান। এতে আতঙ্ক রয়েছেন বৃদ্ধা, তার মেয়ে ও জামাই।
বৃদ্ধার মেয়ে তসলিমা খাতুন বলেন, জমিটির পাট্টা বাবার নামে রয়েছে। আমি মাকে দেখাশুনা করি। এখানেই থাকি। কুরবান জমিটি দখল করে পাকা বাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা বাধা দিতে গেলে তারা মাকে মারধর করে। আমাদের মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। থানায় অভিযোগ করেছি। অভিযুক্ত কুরবান বলেন, বৃদ্ধার ছোট ছেলে জাকির হোসেনের কাছ থেকে দু’বছর আগে ১ লক্ষ টাকায় জমিটি কিনে নিয়েছি। সেই জমিতে বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করলে তারা বাধা দেয়। কাজও বন্ধ করে দেয়। তাদের মারধর ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। এবিষয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি মনোজিৎ সরকার বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে নিদির্ষ্ট ধারায় মামলা হয়েছে। পুলিস তদন্ত করে দেখছে। নিজস্ব চিত্র।