• সাউথ এশিয়ান শর্টফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বালুরঘাটের পটদীপের ‘ছায়া ও স্মৃতি’
    বর্তমান | ০৭ জুলাই ২০২৫
  • সংবাদদাতা, হিলি: অষ্টম সাউথ এশিয়ান শর্টফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রতিযোগিতামূলক বিভাগে নির্বাচিত হয়েছে বালুরঘাটের পটদীপ চৌধুরীর তথ্যচিত্র ‘ছায়া ও স্মৃতি’। কলকাতার নন্দনে তথ্যচিত্রটি প্রদর্শিত হবে ১০ জুলাই। উৎসবে দেশবিদেশের ১০০টি শর্ট ফিল্ম ও তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হবে। প্রতিযোগিতামূলক বিভাগে মোট ১৮টি তথ্যচিত্রের মধ্যে নির্বাচিত হয়েছে ‘ছায়া ও স্মৃতি’। পটদীপ চৌধুরীর পরিচালনা ও চিত্রগ্রহণে ২২ মিনিট দৈর্ঘ্যের এই তথ্যচিত্রটির সম্পাদনায় আছেন মিঠুন প্রামাণিক, সঙ্গীতে নবারুণ বসু এবং সাউন্ড ডিজাইনে রয়েছেন সব্যসাচী পাল। ‘ছায়া ও স্মৃতি’ পটদীপ চৌধুরীর অষ্টম তথ্যচিত্র এবং  এই উৎসবেই এটি প্রথমবার প্রদর্শিত হবে। 

    ‘ছায়া ও স্মৃতি’ তথ্যচিত্রটি কোনও বিখ্যাত চরিত্র, রাজনৈতিক ঘটনা বা ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে নির্মিত নয়। এটি একান্তই ব্যক্তিগত। তবুও এর আবেদন সর্বজনীন। যেখানে পরিচালক তুলে ধরেছেন তাঁর মায়ের ডিমেনশিয়ার সঙ্গে সংগ্রাম এবং একই সঙ্গে নিজের এডিএইচডি বা অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপার অ্যাকটিভিটি ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা। ছবিটি শুধুমাত্র মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে একটি সচেতনতা তৈরির প্রয়াস নয়, বরং এটি এক আত্মজীবনের আত্মসমীক্ষার দলিল। মায়ের স্মৃতি হারানোর মধ্য দিয়ে পরিচালক নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করেছেন। পটদীপের কথায়, ডিমেন্সিয়া ও এডিএইচডি এই দু’টি বিষয়কে একসঙ্গে নিয়ে তথ্যচিত্র নির্মাণ এদেশে এই প্রথম। তাঁর উদ্দেশ্য, এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সমাজে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনার পরিসর বাড়ানো এবং জনসচেতনতা সৃষ্টি করা। পটদীপবাবু নিজের শহর, জেলা, জেলার মানুষ, জেলার শিল্পকর্মকে  সেলুলয়েডে ফ্রেমবন্দি করে দেশ থেকে দেশান্তরে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ২০১০ সাল থেকে তথ্যচিত্র তৈরির কাজ শুরু করেন। এর আগে তাঁর অধিকাংশ তথ্যচিত্র ও ছবি  দেশবিদেশের  বিভিন্ন জায়গার একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হয়েছে। সেই ধারায় তাঁর অষ্টম নবনির্মিত তথ্য চিত্র ‘ছায়া ও স্মৃতি’ ব্যতিক্রমী ও ভিন্নধারার পরিচায়ক। 
  • Link to this news (বর্তমান)