• শিলিগুড়িতে শহিদ দিবসের প্রস্তুতি নিয়ে খামতি নেই জোড়াফুলে, প্রচারে ঝড় যুবর
    বর্তমান | ০৭ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: প্রায় দেড় মাস ধরে ‘শূন্য’ সভাপতির পদ। তবু শিলিগুড়িতে শহিদ দিবস ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি নিয়ে খামতি নেই তৃণমূল কংগ্রেসে। তারা অঞ্চলে অঞ্চলে দেওয়াল লিখন, মিছিল ও সভায় ঝাঁপিয়েছে। এখান থেকে দলের প্রায় পাঁচ হাজার কর্মী-সমর্থককে ধর্মতলায় শহিদ দিবসের সভায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মসূচিতে পাল্লা ভারী দলের যুব সংগঠনের। সমগ্র পরিস্থিতি নিয়ে দলের অন্দরে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে।

    তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা কমিটির (সমতল) মুখপাত্র বেদব্রত দত্ত অবশ্য বলেন, কলকাতায় শহিদ দিবসের সভায় এখান থেকে নিয়ে যাওয়া হবে পাঁচ হাজার জনের বেশি কর্মী-সমর্থককে। এজন্য জোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এজন্য শুধু যুব নয়, দলের মাদার কমিটির নেতা-নেত্রী সহ শাখা সংগঠনগুলি জোরদার প্রচার অভিযানে নেমেছে। দেড় মাস আগে দলের দার্জিলিং জেলা কমিটির (সমতল) চেয়ারম্যান পদ থেকে অলোক চক্রবর্তীকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া অবাঙালি ব্যবসায়ী সঞ্জয় টিবরেওয়ালকে। সেই সময়ই দলের সভানেত্রী পদ থেকে পাপিয়া ঘোষকে সরানো হলেও সেই পদ এখনও পূরণ করা হয়নি। সভাপতি ছাড়াই দল চলছে। শহিদ দিবস নিয়ে ব্লক, অঞ্চল, ওয়ার্ড প্রতিটি স্তরে প্রস্তুতি সভা অব্যাহত। ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে সংশ্লিষ্ট কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দলের ভিত আরও মজবুত করাই জোড়া ফুল শিবিরের টার্গেট বলে খবর।

    দলের জেলা মুখপাত্র (সমতল) বলেন, দলের জেলা সভাপতি ঠিক করবে রাজ্য কমিটি। এব্যাপারে জেলা থেকে কিছু বলার নেই। তবে শহিদ দিবস নিয়ে দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের আবেগ জড়িয়ে আছে। কাজেই সংশ্লিষ্ট দিবসের প্রস্তুতি নিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে কোনও খামতি নেই। দলের জেলা চেয়ারম্যান (সমতল) বলেন, মেয়র গৌতম দেব, অলেক চক্রবর্তী, শঙ্কর মালাকার, রঞ্জন সরকার, পাপিয়া ঘোষ সহ সমস্ত শীর্ষ নেতা-নেত্রীদের নিয়ে জেলা কমিটি, ১০টি সাংগঠনিক ব্লক এবং ২০টি অঞ্চল কমিটিতে সভা করা হয়েছে। এখন মিছিল, দেওয়াল লিখন ও পথসভা চলছে। সর্বস্তরে দলীয় নেতা-কর্মী-সমর্থকদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া মিলছে।

    এক্ষেত্রে দলের মাদার কমিটির সঙ্গে রীতিমতো পাল্লা দিচ্ছে যুব তৃণমূল কংগ্রেস। দলীয় সূত্রের খবর, মাস খানেক আগে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের দার্জিলিং জেলার (সমতল) সভাপতি পদ থেকে নির্ণয় রায়কে সরানো হয়। সেই জায়গায় বসানো হয় জয়ব্রত মুকুটিকে। ইতিমধ্যে তাঁর নেতৃত্বে সংগঠনের ১০টির মধ্যে আটটি ব্লকে প্রস্তুতি সভা হয়েছে। এখন অঞ্চল ও ওয়ার্ডে পথসভা, মিছিল, দেওয়াল লিখন চলছে। এখান থেকে কর্মী-সমর্থকদের বাসে ও ট্রেনে করে কলকাতায় শহিদ দিবসের সভায় নিয়ে যাওয়া হবে। এজন্য এনজেপি স্টেশনে একটি ক্যাম্প করা হবে।

    সংগঠনের জেলা সভাপতি (সমতল) বলেন, শহিদ দিবসে দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা শোনার জন্য জেলার যুবক-যুবতীরা মুখিয়ে রয়েছেন। এবার এখান থেকে রেকর্ড সংখ্যক যুবকর্মী কলকাতার ধর্মতলায় শহিদ দিবসের সভায় শামিল হবেন।
  • Link to this news (বর্তমান)