নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: ইটাহার এবং রায়গঞ্জে এটিএম লুটকাণ্ডে জড়িত কাটার গ্যাংয়ের তিন সদস্যকে শীঘ্রই জলপাইগুড়ি থেকে রায়গঞ্জে আনা হবে।
৭ মার্চ রাতে একযোগে ইটাহার ও রায়গঞ্জের দু’টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে নগদ ৪৮ লক্ষ লুট হয়। যা নিয়ে রায়গঞ্জ পুলিস তদন্তে নেমে দু’জনকে গ্রেপ্তারও করে। কিন্তু এটিএম লুট কাণ্ডের মূল কারিগরদের তখন নাগাল পাওয়া যায়নি। শেষপর্যন্ত জলপাইগুড়ি জেলা পুলিসের হাতে গত মাসে ওই গ্যাংয়ের মূল সদস্যরা ধরা পড়ে। সেখানকার পুলিসি তদন্ত প্রক্রিয়া, জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব মিটতেই এবার ওই তিনজনকে রায়গঞ্জ পুলিস হেফাজতে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। কয়েকদিনের মধ্যে এটিএম কাটার গ্যাংয়ের তিন সদস্য নরেশ রাম ওরফে রাজু, ইরফান খান ওরফে ছাতি, মহম্মদ সামসেরকে রায়গঞ্জ পুলিস হেফাজতে নেবে। রায়গঞ্জ থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকার বলেন, রায়গঞ্জ ও ইটাহারের এটিএম লুটের ঘটনায় যারা যুক্ত, তাদের কয়েকজন জলপাইগুড়ি জেলা পুলিসের হেফাজতে আছে। তাদের কয়েকদিনের মধ্যেই আদালতের অনুমতি নিয়ে রায়গঞ্জে আনা হবে। জলপাইগুড়ি জেলা ও রায়গঞ্জ পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতরা প্রত্যক্ষভাবে রায়গঞ্জের এটিএম লুটে জড়িত। তার স্বপক্ষে বেশকিছু তথ্যপ্রমাণ আগেই পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এদের হদিস মিলছিল না। জলপাইগুড়ি পুলিসের জালে ধৃতদের মধ্যে নরেশ রাম হরিয়ানা নুহ থানা এলাকা, ইরফান খান রাজস্থান ও মহম্মদ সামসের বিহারের বাসিন্দা। এরা প্রত্যেকেই এটিএম মেশিন গ্যাস কাটার দিয়ে কাটতে সিদ্ধহস্ত।