দুর্গাপুরে ৪০ কেজি গাঁজা সহ গ্রেপ্তার মহিলা পাচারকারী গ্যাং
বর্তমান | ০৭ জুলাই ২০২৫
সংবাদদাতা, দুর্গাপুর: শনিবার দুর্গাপুর কোক ওভেন থানার পুলিস একজন যুবক সহ পাঁচজনের মহিলা গাঁজা পাচারকারী গ্যাংকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের কাছ থেকে প্রায় ৪০ কেজি গাঁজা, নগদ তিন হাজার টাকা ও তিনটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস। ধৃতদের নাম আনন্দ চট্টোপাধ্যায়, সনকা দাস, মিনতি ঘোষ, উষা মণ্ডল ও দেবী দাস। তাদের সকলের বাড়ি নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ থানা এলাকায়। ধৃতদের রবিবার আসানসোল জেলা মাদক আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক ধৃতদের সাতদিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেন। জানা গিয়েছে, ওই দিন ঝাড়খণ্ড রাজ্যের ধানবাদ থেকে পাচারকারীরা ট্রেনে করে দুর্গাপুর রেলস্টেশনে পৌঁছয়। সেখান থেকে তারা দুর্গাপুর বাসস্ট্যান্ডে আসে। কোক ওভেন থানার পুলিস গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সাদা পোশাকে বাসস্ট্যান্ডে হানা দিয়ে তাদের আটক করে। তাদের পিঠে থাকা ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে ওই বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করে পুলিস। পুলিস ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে গাঁজা কারবারের তদন্ত শুরু করেছে। ওই চার মহিলাদের মধ্যে একজন মাঝ বয়সি, দু’জন বৃদ্ধা ও একজন প্রৌঢ়া। পাচারকারী গ্যাংয়ের মূল পাণ্ডা আনন্দ চট্টোপাধ্যায়। সে এই কারবার বহুদিন ধরে করছে বলে পুলিসের অনুমান। পুলিস যাতে সন্দেহ না করে, তাই সে গ্রামের ওই দুঃস্থ ও অসহায় বৃদ্ধা সহ মহিলাদের এই কাজে লিপ্ত করেছে। অর্থের প্রলোভন দেখিয়েই মহিলা পাচারকারী গ্যাং তৈরি করা হয়েছিল। ওড়িশা থেকে ওই গাঁজা নিয়ে আসা হচ্ছিল। রেল পুলিসের হাত থেকে বাঁচতে তারা ট্রেন থেকে নেমে বাস করে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছিল। দুর্গাপুর রেলস্টেশন ও বাসস্ট্যান্ডে আগেও বহুবার পুলিসের জালে পড়েছে গাঁজা কারবারিরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ধৃতরা মুর্শিদাবাদ ও নদীয়া জেলার বাসিন্দা ছিল। উল্লেখ্য, প্রায় ছ’মাস আগে পুলিস বাসস্ট্যান্ড থেকে ৮০ কেজি গাঁজা সহ চার জনকে গ্রেপ্তার করেছিল।-নিজস্ব চিত্র