দুবরাজপুরে হিংলো, শাল ও বক্রেশ্বর নদীতে এবার ড্রেজিংয়ের জন্য প্রস্তাব
বর্তমান | ০৭ জুলাই ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধ, সিউড়ি: হিংলো, শাল ও বক্রেশ্বর নদীবক্ষে পলিস্তর জমে জলধারণ ক্ষমতা অনেকটাই কমে গিয়েছে। ফলে অল্প বৃষ্টিতেই নদীর জলস্তর অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। বর্ষার মরশুমে মাঝেমধ্যেই দুবরাজপুর ব্লকে নদীর উপর থাকা কজওয়ে জলের তলায় চলে যায়। এতে কজওয়ে লাগোয়া স্থানীয় বাসিন্দাদের যাতায়াতে সমস্যায় পড়তে হয়। সেই জন্য ওই সমস্ত নদীর নাব্যতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ড্রেজিং করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য ব্লকস্তর থেকে এই তিনটি নদীর কথা উল্লেখ করে জেলা প্রশাসনের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সেইসঙ্গে ওই প্রস্তাবে একাধিক কাঁদর সংস্কারের কথাও বলা হয়েছে।
দুবরাজপুরের বিডিও রাজা আদক বলেন, নদীতে পলি জমে থাকায় বর্ষার মরশুমে মাঝেমধ্যে সমস্যা দেখা দেয়। স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনটি নদীর পলি নিষ্কাশনের বিষয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। ব্লক প্রশাসন জানিয়েছে, নদীবক্ষে পলি জমে দুবরাজপুরের উপর দিয়ে বয়ে চলা হিংলো, শাল ও বক্রেশ্বর নদীর নাব্যতা অনেকটাই কমে গিয়েছে। ফলে অল্প বৃষ্টি বা হিংলো ড্যাম থেকে জল ছাড়া হলে একাধিক নদীর জলস্তর আচমকা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের তার মাশুল গুনতে হয়।
স্থানীয়রা জলযন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে সরব হয়েছেন। সেজন্য জেলা প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী দুবরাজপুর ব্লক কর্তৃপক্ষ স্থায়ী সমাধানের পথে হাঁটতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে সমীক্ষার কাজ শেষ করে পৃথক তিনটি নদী সংস্কারের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, তিনটি নদী মিলিয়ে প্রায় ৩৫কিমি এলাকাজুড়ে নদীবক্ষ থেকে পলি তোলার প্রয়োজন রয়েছে। ব্লকের নানা প্রান্তে থাকা একাধিক কাঁদর সংস্কারেও ব্লক প্রশাসন উদ্যোগী হয়েছে।
নদী সংস্কার শেষ হলে জলধারণ ক্ষমতা অনেকটাই বেড়ে যাবে। ফলে বর্ষার মরশুমে নদীতে জলস্তর বেড়ে যাওয়া, কজওয়ে ডুবে যাওয়ার আশঙ্কাও আর থাকবে না। নাব্যতা বাড়লে জল সংরক্ষণেও অনেকটাই সুবিধা হবে। এতে ব্লকের বহু চাষি আখেরে উপকৃত হবেন। প্রয়োজন অনুসারে সেই জল এলাকায় চাষের কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। নদী তিনটি সংস্কার কবে শুরু হবে, সেই অপেক্ষায় স্থানীয়রা।