নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: মুর্শিদাবাদে দুই নাবালিকাকে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। দু’টি পৃথক ঘটনায় বহরমপুর ও বেলডাঙা থানার পুলিস দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় বহরমপুর শহরে। শহরের একটি নামকরা বাংলা মিডিয়াম গার্লস হাই স্কুলে সাইবার সচেতনতা এবং বাল্যবিবাহ রোধ নিয়ে একটি সচেতনতামূলক সেমিনার করে জেলা পুলিস। সেখানে পুলিসের মুখে বিভিন্ন বাস্তব ঘটনার কথা শুনে সেমিনার শেষে পাঁচজন ছাত্রী এক পুলিস আধিকারিককে ঘিরে ধরে। একজন পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী পুলিসকে নিজের নির্যাতনের ঘটনা খুলে বলে। পুলিস তড়িঘড়ি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে ডেকে গোটা ঘটনার লিখিত অভিযোগ নেন। ঘটনার তদন্তে নেমে ওই নাবালিকার এক আত্মীয়কে গ্রেপ্তার করে পুলিস। বহরমপুর থানার আইসি উদয়শঙ্কর ঘোষ বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা পকসো ধারায় মামলা রুজু করেছি। অভিযুক্তকে শনিবার গোরাবাজারের তার দিদির বাড়ি থেকে ধরা হয়েছে। ধৃতকে রবিবার মুর্শিদাবাদ জেলার বিশেষ পকসো আদালতে পাঠানো হলে বিচারক জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। জানা গিয়েছে, ধৃত ওই আত্মীয় গত এক সপ্তাহ ধরে ওই নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করছিল। বিদ্যালয়ে ওই সেমিনারে কথা শুনে সাহস পেয়ে ওই নাবালিকা পুলিসকে বিষয়টি জানালে পুলিস ওই আত্মীয়কে গ্রেপ্তার করে। অন্য একটি ঘটনায় বেলডাঙায় এক নাবালিকাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে লাগাতার ধর্ষণ করে এক যুবক। ঘটনার কথা জানতে পেরে নাবালিকার মা থানার দ্বারস্থ হন। পুলিস আধিকারিকরা দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতের নাম, কবিরুল শেখ। তার বাড়ি বেলডাঙার সুজাপুর এলাকায়। ধৃতকে রবিবার মুর্শিদাবাদ জেলা আদালতের বিশেষ পকসো আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতে নির্দেশ দেন। বেলডাঙার এসডিপিও উত্তম গড়াই বলেন, নাবালিকার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো ধারায় মামলা হয়েছে। আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি।