নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: পাট রোপণের সময় ভালো বৃষ্টি হয়নি। জলসেচ দিয়েই পাট বাঁচিয়ে রেখেছিলেন জেলার চাষিরা। তবে জুলাই মাসের শুরু থেকে জেলাজুড়ে ভালো বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। চলতি সপ্তাহে গত তিন-চারদিন ধরে লাগাতার বৃষ্টি চলছে। পুকুর, খালবিল, নদীনালায় জল বাড়ছে। ফলে পাট জাঁক দিতে এখন সমস্যা হবে না। তাই জেলার চাষিরা আগেভাগে পাট কাটতে শুরু করেছেন। মুর্শিদাবাদ জেলায় প্রায় এক লক্ষ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ১০-১২হাজার হেক্টর জমির পাট চাষিরা কেটে ফেলেছেন। যা পাটচাষের মোট জমির ১০শতাংশের বেশি। চাষিরা ওই পাট কেটে জাঁক দিতে শুরু করেছেন। জেলার বহরমপুর, হরিহরপাড়া, নওদা, বেলডাঙা, রেজিনগর, সাগরপাড়া, রানিনগর, জলঙ্গি, ডোমকল, ভগবানগোলা, রানিতলা, লালবাগ, লালগোলা, কান্দি, নবগ্রামে বেশিরভাগ জমিতে পাট চাষ হয়। শুরুর দিকে বৃষ্টির অভাবে পাটগাছ বাঁচিয়ে রাখাই চাষিদের কাছে চ্যালেঞ্জ ছিল। লাগাতার জলসেচ দিয়ে তাঁরা পাটগাছ জীবিত রেখেছিলেন। তারপর মাঝেমধ্যে ভালো বৃষ্টি হয়েছে। পাটগাছ বড় হওয়ার পর শনিবার থেকেই ভারী বৃষ্টি শুরু হওয়ায় চাষিরা পাট কাটতে শুরু করেছেন। গতবছর পাট পচানোর জল না পেয়ে অনেকেই সমস্যায় পড়েছিলেন। এবার ভালো বৃষ্টি হওয়ায় আগেভাগে পাট কেটে জাঁক দিতে ব্যস্ত বেশিরভাগ চাষি। তবে একসঙ্গে প্রায় সবাই পাট কাটা শুরু করায় চাষিদের অনেকে খেতমজুর পেতে সমস্যায় পড়েছেন। হরিহরপাড়ার পাটচাষি মুস্তাকিন হক বলেন, আগেভাগে পাট লাগিয়েছিলাম। লাগাতার জলসেচ দিয়ে পাট বাঁচিয়ে রাখি। তবে কিছুদিন পর থেকে আর সমস্যা হয়নি। এবার পাটগাছ ভালোই হয়েছে। আগে বাজারে তুলতে পারলে পাটের তন্তুর ভালো দাম মিলবে। ডোমকলের পাটচাষি ইমাদুল শেখ বলেন, গতবার চাষের পর পাট পচানোর জল পাইনি। এবার তাই জমির পাশে একটা ডোবা কাটিয়েছি। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সেখানে ভালোই জল হয়েছে। শুক্রবার থেকে পাট কাটা শুরু করেছি। মঙ্গলবারের মধ্যে সমস্ত জমির পাট কেটে ফেলা যাবে।