• ভোর থেকেই তীব্র যানজট নবদ্বীপের গৌরাঙ্গ সেতুতে
    বর্তমান | ০৭ জুলাই ২০২৫
  • সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: রবিবার ভোর থেকেই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় নবদ্বীপের গৌরাঙ্গ সেতুতে। একটানা প্রায় তিন থেকে চার ঘণ্টা কোনও গাড়ি তার জায়গা থেকে একচুল নড়েনি। নবদ্বীপ রেলগেট থেকে গৌরাঙ্গ সেতু হয়ে গৌড়নগর পর্যন্ত রাজ্য সড়কের উপর অসংখ্য যানবাহন দাঁড়িয়ে ছিল। কলকাতা-শিলিগুড়ির মতো গুরুত্বপূর্ণ রুটের গাড়িগুলি এই যানজটের কবলে পড়ে। চরম সমস্যায় পড়ে বাসযাত্রী ও সাধারণ মানুষ। দুর্ভোগে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারাও। নবদ্বীপ শ্মশানে দাহ করতে আসা শববাহী গাড়িও দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে। ভোর থেকে ঝিরঝিরে বৃষ্টি আরও বিরক্তি বাড়িয়ে তোলে। অনেকে মনে করছেন মহরমের শোভাযাত্রা বের হওয়ার কারণেই যানজট হয়েছিল। আবার একাংশের মতে, নবদ্বীপ সংলগ্ন হেমায়েতপুর মোড়ের কাছে নো এন্ট্রি করে রাখায় এই যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। 

    তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ের বাসিন্দা পেশায় ট্রাকচালক সরণজিৎ বলেন, ভোর ৩টে থেকে যানজটে আটকে আছি। শিলিগুড়িতে গাড়ির মালপত্র নামিয়ে কলকাতায় ফিরছি। কখন এখান থেকে গাড়ি ছাড়বে জানি না।

    বর্ধমানের মেমারির ব্রজগোপাল পাল বলেন, শনিবার পরিবার নিয়ে রানাঘাট গিয়েছিলাম। কালনা-কৃষ্ণনগর রুটের বাসে বাড়ি ফিরছিলাম। গৌরাঙ্গ সেতুর কাছে বাস আটকে যায়। অযথা বাসে বসে না থেকে এখন পরিবার আর লাগেজ নিয়ে হেঁটে-হেঁটে যাচ্ছি। কখন বাড়ি পৌঁছব জানি না। বনগাঁ-বর্ধমান রুটের বাসচালক মৌনবি শিকদার বলেন, বনগাঁ থেকে সোয়া ৫টায় গাড়ি ছেড়েছি। এখানে যানজটে ৮টা থেকে আটকে রয়েছি। একটা ট্রিপের ক্ষতি হয়ে গেল। 

    কৃষ্ণনগর পুলিস জেলার নবদ্বীপ ট্রাফিক বিভাগের ওসি পলাশ বিশ্বাস বলেন, নবদ্বীপে ঢোকার মুখে জোড়া ব্রিজের কাছে নো এন্ট্রি বোর্ড লাগানোর ফলেই এই যানজট তৈরি হয়েছে। এছাড়া বেশ কিছু গাড়ি ডবল রুট করে ফেলায় ঘটেছে বিপত্তি। আমরা রাস্তা যানজট মুক্ত রাখতে একদিক দিয়ে যাতে গাড়ি চলাচল করে সেই চেষ্টা করছি। অ্যাম্বুলেন্স, শববাহী গাড়ি সহ দূরপাল্লার গাড়িগুলিকে রাস্তার একদিক দিয়ে চালানোর চেষ্টা করছি। পরে এদিন দুপুরের দিকে ধীরে ধীরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।  গৌরাঙ্গ সেতুতে দাঁড়িয়ে রয়েছে গাড়ি। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)