জেলায় কন্যাশ্রী প্রকল্পে লক্ষাধিক ছাত্রীকে আর্থিক সাহায্যের টার্গেট
বর্তমান | ০৭ জুলাই ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কৃষ্ণনগর: ২০২৫-’২৬ অর্থবছরে নদীয়া জেলায় কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় এক লক্ষেরও বেশি ছাত্রীকে আর্থিক সাহায্য করা হবে। তার জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কন্যাশ্রী-১ প্রকল্পে জেলায় নতুন করে ৩৬ হাজার ছাত্রীকে অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রায় ৮০ হাজার ছাত্রীর রিনিউয়াল হবে। সব মিলিয়ে ১ লক্ষ ১৫ হাজার ২৮৩ জন ছাত্রীকে কে-১ এবং ২৭ হাজার ১৮১ জন ছাত্রীকে কে-২ প্রকল্পের আওতায় আর্থিক সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে রাজ্য সরকার।
নদীয়া জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, এবছর প্রায় ১ লক্ষ ৪৪ হাজার ছাত্রীকে কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় আর্থিক সাহায্য করা হবে। গত অর্থবছর অর্থাৎ ২০২৪-’২৫এ নদীয়া জেলায় কে-১ প্রকল্পে মোট এক লক্ষ নয় হাজার ৯৭৬ জন ছাত্রীকে সাহায্য দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল, যার মধ্যে এক লক্ষ ছয় হাজার ৭৩৫ জন প্রকৃতপক্ষে টাকা পেয়েছেন। অন্যদিকে, কন্যাশ্রী-২ প্রকল্পে এবছর ২৭ হাজার ১৮১ জন ছাত্রীকে আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হবে, যা গত বছরের তুলনায় বেশি। ২০২৪-’২৫ অর্থবছরে এই প্রকল্পে ২৬ হাজার ৯৪৩ জন ছাত্রীকে টার্গেট করা হয়েছিল, যার মধ্যে প্রায় ২২ হাজার ছাত্রী প্রকৃত অর্থ পেয়েছে। কন্যাশ্রী-১ প্রকল্পের সুবিধা পেতে ছাত্রীদের ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সি হতে হবে এবং ন্যূনতম অষ্টম শ্রেণিতে পাঠরত থাকতে হবে। এই প্রকল্পে বছরে এক হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। অপরদিকে, কন্যাশ্রী-২ প্রকল্পে ১৮ থেকে ১৯ বছর বয়সি অবিবাহিতা এবং সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠরত ছাত্রীরা এককালীন ২৫ হাজার টাকা পান।
তবে, এই সাফল্যের মধ্যেও স্কুলছুট ছাত্রীর সংখ্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে প্রশাসন। ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে কন্যাশ্রী পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী জেলায় স্কুলছুট ছাত্রীর সংখ্যা চার হাজার ৪২২জন। এর মধ্যে চাপড়া ব্লকে হাজারের বেশি, কালীগঞ্জে ৮০০-র বেশি, নাকাশিপাড়ায় ৪০০-এর বেশি, করিমপুর-২ ব্লকে ৩০০-র বেশি এবং কৃষ্ণনগর-১ ব্লকে ৫০০-এর বেশি ছাত্রী রয়েছে।
যদিও প্রশাসনের দাবি, যারা একটি স্কুল থেকে ট্রান্সফার নিয়েছে কিন্তু অন্য স্কুলে নাম নথিভুক্ত করেনি, তাদের সম্ভাব্য স্কুলছুট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পাশাপাশি, এক হাজার ৫৯২ জন ছাত্রী নানা সমস্যার কারণে কন্যাশ্রী পোর্টালে পুনঃনিবন্ধন করেনি, ফলে তাদের স্কুলছুট হিসেবে ধরা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট নয়।