নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদের কর্মবিরতি নিয়ে কোনও পদক্ষেপ পুরকর্তারা করছেন না। আবার বেহাল পরিষেবার হাল ফেরাতেও কোনও বিকল্প ব্যবস্থার পরিকল্পনা পুরকর্তাদের কাছে নেই। এই পরিস্থিতিতে অসহনীয় যন্ত্রণায় ভুগতে হচ্ছে চুঁচুড়ার বাসিন্দাদের। কার্যত সাতদিন বাদেও চুঁচুড়ায় অন্তত সাফাই ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার কোনও উদ্যোগ পুরকর্তারা নিতে পারেননি। তার জেরে ঘরে ঘরে আবর্জনা মজুত হয়ে ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন বাসিন্দারা। অনেকেই টাকা দিয়ে মজুর ভাড়া করে আবর্জনা ফেলার ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু সকলের পক্ষে তা সম্ভব না হওয়ায় দুর্ভোগ বাড়ছে। অন্যদিকে, শহরের সমস্ত ভ্যাটগুলি আবর্জনায় উপচে পড়ছে। নানাভাবে সেখান থেকে নোংরা ছড়িয়ে পড়ছে রাস্তায়। সাধারণ মানুষের সুস্থভাবে হাঁটাচলা করাই এখন দায়। গোটা শহর দুর্গন্ধে ভরে গিয়েছে।
এ নিয়ে পুরকর্তাদের সাফাই, অস্থায়ী কর্মীদের বেআইনি আন্দোলন বরদাস্ত করা হবে না। তাহলে সাফাই থেকে শুরু করে পুর পরিষেবা নিয়ে বিকল্প কী ব্যবস্থা হয়েছে? পুর চেয়ারম্যান অমিত রায় বলেন, অনেকগুলি বিকল্প নিয়ে ভাবা হচ্ছে। কিন্তু আপাতত কোনওটাই বাস্তবায়িত হয়নি। একটি গভীর ষড়যন্ত্র করে পুরসভাকে এবং নাগরিকদের বিপাকে ফেলার চেষ্টা চলছে। সেই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে আপস করা হবে না। এই শহরের বাসিন্দা তথা আঞ্চলিক ইতিহাসের চর্চাকার সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পুরকর্তা ও পুরকর্মীদের টানাপোড়েনে বাসিন্দাদের বাড়িতে টেকা দায় হয়ে উঠেছে। বাড়িতে আবর্জনার পাহাড় জমেছে। রাস্তায় দুর্গন্ধে বের হওয়া কঠিন। কে ঠিক কে ভুল, সে বিবেচনা করার দায় নাগরিকদের নয়। তাঁদের কাছে পরিষেবাটাই মুখ্য। যা বারবার এই শহরে বিঘ্নিত হয়েছে। এর স্থায়ী সমাধান হওয়া প্রয়োজন।
অবসরের বয়স ও অবসরকালীন সুবিধা নিয়ে পুরসভার সঙ্গে বিরোধে জড়িয়েছেন অস্থায়ী কর্মীরা। তার জেরে গত সোমবার থেকে কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। পুরসভার পরিষেবার অধিকাংশ কাজই অস্থায়ী কর্মীরা করেন। যে কারণে, তাঁদের কর্মবিরতির জেরে সাফাই সহ যাবতীয় পরিষেবা লাটে উঠেছে। পুরকর্মীদের সঙ্গে সংঘাতে জড়ালেও বিকল্প কোনও ব্যবস্থার কথা পুরকর্তারা সাতদিনেও ভেবে উঠতে পারেননি। তার জেরে বাসিন্দাদের লাগাতার দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যা বাসিন্দাদের রীতিমতো ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। নিজস্ব চিত্র