দক্ষিণ কলকাতার আইন কলেজে গণধর্ষণ-কাণ্ড সামনে আসার পরে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছিল, যেখানে ছাত্র-ভোট হয় না, সেখানে ছাত্র সংসদের ঘর খোলা কেন। এই পরিস্থিতিতে একটি মামলায় কলকাতা হাই কোর্ট ছাত্র সংসদের ঘরগুলি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলেও, এখনও অন্তত ৮০%-এর বেশি কলেজে তা খোলা রয়েছে বলে রবিবার অভিযোগ তুলল সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই। এর সঙ্গেই মণীন্দ্র কলেজ, সুরেন্দ্রনাথ কলেজ, সিটি কলেজ, আশুতোষ কলেজের মতো কলকাতার অন্তত ১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘প্রভাবশালী দাদা’ এবং তাঁদের আশ্রয়দাতা তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীরা রয়েছেন, নির্দিষ্ট ভাবে নাম করে এমন অভিযোগও তুলেছে তারা।
সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে, সভাপতি প্রণয় কার্য্যীদের বক্তব্য, “ক্যামাক স্ট্রিট-কালীঘাটের যৌথ আশ্রয়ে ক্যাম্পাসে অপরাধ-চক্র চলছে। কলেজে অনুষ্ঠান থেকে ভর্তির সময়ে কোটি কোটি টাকা তোলা হচ্ছে। প্রতিটি ক্যাম্পাসে ‘মনোজিৎ মডেল’ (গণধর্ষণ-কাণ্ডে অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র) তৈরি করেছেন তৃণমূলের মাথারা।” ভয়মুক্ত, অপরাধমুক্ত ক্যাম্পাস গড়া এবং দ্রুত ছাত্র সংসদ ভোটের দিন ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে এসএফআই। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের পাল্টা বক্তব্য, “পুরোটাই কুৎসা করার লক্ষ্যে, এসএফআইয়ের আজগুবি তত্ত্ব! বাম আমলে ছাত্রভোট-সহ কলেজের সব ক্ষেত্রে দাদাগিরি, গুন্ডাগিরি করত সিপিএমের লোকাল কমিটি।”