• রথে লক্ষ লক্ষ টাকার ভোগ বিলি
    আনন্দবাজার | ০৭ জুলাই ২০২৫
  • উল্টোরথে মেতে উঠল মল্লরাজধানী বিষ্ণুপুর। শনিবার সন্ধ্যা থেকে দুই রথ কমিটির পাঁচটি করে চৌডল নগর পরিক্রমায় বেরোয়। বাসিন্দাদের দাবি, দিন দিন এই উৎসবের জৌলুস আরও বেড়েছে।

    উৎসাহ বেড়েছে দুই রথ কমিটির কাছ থেকে ভোগ কেনার উৎসাহও। সোজারথ থেকে উল্টোরথ এই ন’দিন ধরে হাজার হাজার মানুষ ভোগ কিনেছেন। সব মিলিয়ে বেশ কয়েক লক্ষ টাকার প্রসাদ কিনেছেন ভক্তেরা। শনিবার প্রসাদ না পেয়ে অনেকে ফিরে যান।

    এ দিন মাধবগঞ্জ এগারো পাড়া ষোলোআনার রাধামদনগোপাল জীউয়ের ভোগ বিলি হয়েছে প্রায় দু’হাজার। রথ ও বিগ্রহের চৌডল সাজানোর ব্যস্ততা থাকা এ দিন তুলনামূলক ভোগের কম কুপন দেওয়া হয় বলে জানান কমিটির কর্মকর্তারা। তবে ন’দিনে তাঁরা মোট ২৫ হাজার ভোগ বিলি করেছেন বলে জানান। প্রতিটি ভোগের মূল্য ১৩০ টাকা করে। সে দিক দিয়ে বিগ্রহের ভোগ বিলি করে প্রায় সাড়ে ৩২ লক্ষ টাকা এসেছে কমিটির হাতে। স্থানীয় বাসিন্দা পান্নালাল দাস বলেন, ‘‘সূর্যোদয়ের পরে মাধবগঞ্জে ভোগের রান্না বসানোর নিয়ম। তাই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কুপন কাটতে হয়।’’ এ দিন প্রায় হাজার খানেক মানুষ কুপন না পেয়ে ফিরে গিয়েছেন।

    অন্য দিকে, কৃষ্ণগঞ্জ আটপাড়া ষোলোআনা কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, এ দিন তাদের ২৭০০ ভোগের কুপন বিলি করা হয়েছে। ন’দিনে বিলি হয়েছে প্রায় ২০ হাজার ভোগ। সে দিক থেকে কমিটির হাতে এসেছে প্রায় ২৬ লক্ষ টাকা, এমনটাই জানাচ্ছেন কমিটির তরফে হেমন্ত নাগ।

    রথ থেকে উল্টোরথ পর্যন্ত মেলায় আসা দোকানগুলিতে প্রচুর টাকার লেনদেন হয়। শুধু বাঁকুড়া জেলার ব্যবসায়ীরাই নয়, পুরুলিয়া থেকেও অনেকে দোকান করেন। কাগজের খেলনা নিয়ে পুরুলিয়া থেকে এসেছেন প্রদীপ মাহাতো। তিনি বলেন, “ছেলে বাঁশের বাঁশি ফেরি করছে। স্ত্রী বিক্রি করছে ঢোলক। আমি মেলার চার দিকে ঘুরে রঙিন কাগজের খেলনা বিক্রি করছি। প্রতি বছর বিষ্ণুপুরের রথের মেলায় সপরিবারে চলে আসি। বৃষ্টি না হলে খরচ বাদ দিয়ে তিন জনে প্রায় ১২ হাজার টাকা লাভ করি।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)