আয়োজনে খামতি ছিল না। শহর সাজানো থেকে প্রচার, মন্ত্রী-আমলাদের উপস্থিতি, নিরাপত্তা, বসিয়ে প্রসাদ খাওয়ানো— সবই ছিল। তবু, রথের মতো উল্টোরথেও আশানুরূপ ভিড় হল না সৈকত শহরে।
দিঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের পরে এ বছরই প্রথম রথের চাকা গড়িয়েছে। গত শুক্রবার রথযাত্রার সূচনায় এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনের দাবি ছিল, প্রায় দু’লক্ষ জনসমাগম হবে। কিন্তু রথের দিঘায় সেই ভিড় হয়ইনি। উল্টোরথেও ছবিটা বদলায়নি। রথ টানা শেষে অবশ্য দিঘার রাস্তায় সপ্তাহান্তের চেনা ভিড় ছিল, জগন্নাথ মন্দিরেও লম্বা লাইন পড়ে।
শনিবার বিকেল ৪টে নাগাদ রথের রশি টেনে পুনর্যাত্রার সূচনা করেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ছিলেন আরও চার মন্ত্রী— চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, পুলক রায়, স্নেহাশিস চক্রবর্তী এবং ইন্দ্রনীল সেন। সকালে ওল্ড দিঘায় জগন্নাথদেবের মাসির বাড়িতে ৫৬ ভোগ নিবেদন করা হয়। বিশেষ পুজোপাঠের পরে দুপুর সওয়া ২টো নাগাদ ‘পাহান্ডি বিজয়’ উৎসবের মাধ্যমে শঙ্খ আর উলুধ্বনি দিয়ে জগন্নাথ, বলভদ্র আর সুভদ্রাকে রথে তোলা হয়।
রথ-সড়কের দু’দিকে বাঁশের ব্যারিকেডের বাইরে তখন লোক জমেছে। তবে অভিযোগ, রথ-সড়কে প্রথমে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হলেও পরে বার করে দেয় পুলিশ। কলকাতা থেকে আসা বেশ কয়েক জন পর্যটকের ক্ষোভ, “ভিড়ের থেকে প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা বেশি। রথের দড়ি টানার সুযোগই যদি না থাকে, তা হলে এসে লাভ কী!” পরে অবশ্য পুলিশের শীর্ষকর্তাদের হস্তক্ষেপে কয়েক জনকে ভেতরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়। গোটা আয়োজন ঘুরে তদারকি করেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার।
পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, “মাসির বাড়িতে দশ হাজার মানুষ প্রসাদ গ্রহণ করেছেন। ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কিছু কিছু পদক্ষেপ করেছে।” দিঘার জগন্নাথ মন্দির পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ইসকনের কলকাতা শাখার সহ-সভাপতি রাধারমণ দাস জানিয়েছেন, জগন্নাথদেব ৮ জুলাই গর্ভগৃহে প্রবেশ করবেন।