• পুরসভায় প্রশাসনিক দায়িত্বে রদবদল, প্রশ্ন পরিষেবা নিয়ে
    আনন্দবাজার | ০৭ জুলাই ২০২৫
  • কলকাতা পুরসভায় প্রশাসনিক স্তরে দায়িত্ব বণ্টনে রদবদল ঘটল। অতিরিক্ত, যুগ্ম পুর কমিশনার ও পুর সচিবের মধ্যে কাজের পুরনো ভাগাভাগি বাতিল করে নতুন ভাবে দায়িত্ব বণ্টন করল পুরসভা। পুর কমিশনার অফিস সূত্রের খবর, জনস্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং তা অবিলম্বে কার্যকর হবে।

    নতুন দায়িত্ব বণ্টন অনুসারে, অতিরিক্ত কমিশনারের হাতে থাকবে সর্বাধিক দায়িত্ব— মোট ২৩টি দফতর। এর মধ্যে রয়েছে সাধারণ প্রশাসন, অফিস ম্যানেজমেন্ট, পেনশন, স্টাফ কোয়ার্টার্স, রাস্তাঘাট, জল সরবরাহ, পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ প্রকল্প, লাইসেন্স, পার্কিং, বিজ্ঞাপন, অ্যাসেসমেন্ট, অডিট, অ্যামিউজ়মেন্ট ফি প্রভৃতি।

    যুগ্ম কমিশনারকে দেওয়া হয়েছে ২১টি দফতরের দায়িত্ব— স্বাস্থ্য, নিকাশি ও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, শিক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি, বাজার, আলো ও বিদ্যুৎ, সংখ্যালঘু উন্নয়ন-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শাখা।

    অন্য দিকে, পুর সচিবের দায়িত্বের মধ্যে রাখা হয়েছে পুরসচিব দফতর, কেন্দ্রীয় রেকর্ড বিভাগ, সরকারি ছাপাখানা, জনসংযোগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, রাস্তার হকার সংক্রান্ত বিষয়াদি এবং কলকাতা পুরসভা আইনের অধীন নির্ধারিত দায়িত্ব সমূহ।

    পুরসভা সূত্রের খবর, তিন আধিকারিকই তাঁদের নির্ধারিত দফতর সমূহের জন্য সরাসরি পুর কমিশনারকে রিপোর্ট করবেন। কমিশনার ছুটিতে থাকলে অতিরিক্ত কমিশনার দায়িত্ব সামলাবেন এবং অন্য কোনও আধিকারিকের অনুপস্থিতিতে যুগ্ম কমিশনার সেই দায়িত্ব নেবেন।

    প্রশাসনিক মহলের একাংশের মতে, এই পুনর্বিন্যাসের ফলে কাজের স্বচ্ছতা ও গতি বাড়বে। তবে প্রশ্ন উঠছে— শুধু দায়িত্ব বদল করলেই কি নাগরিক পরিষেবার মান উন্নত হবে? বর্ষার মরসুমে শহরের বহু এলাকায় এখনও জল জমে থাকে। সামান্য বৃষ্টিতেই নিকাশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, রাস্তার অবস্থা বেহাল হয়ে ওঠে। সেই বাস্তবতা দেখে অনেকেই সন্দিহান এই রদবদলের কার্যকারিতা নিয়ে।

    পুর কর্তাদের একাংশের বক্তব্য, জনস্বার্থে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও, বাস্তব সমস্যা সমাধানে কেবল ফাইলের দায়িত্ব বদল যথেষ্ট নয়,চাই সক্রিয় মনোভাব ও ফলপ্রসূ পদক্ষেপ। ফলে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস কতটা কার্যকর হয়, এখন নজর থাকবে তার দিকেই।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)