• ভগ্নদশায় অমর্ত্য সেনের স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক হস্টেল, সংরক্ষণের আর্জি উপাচার্যকে
    আনন্দবাজার | ০৭ জুলাই ২০২৫
  • বর্ষা আসতেই আতঙ্কে হিন্দু হস্টেলের আবাসিকেরা। ১৩৯ বছরের ঐতিহ্যবাহী এই ইডেন হিন্দু হস্টেলেই ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ, বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহা, অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন থেকেছেন এক সময়। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের দাবি, এই হস্টেলই এখন সংস্কারের অভাবে কার্যত ধুঁকছে! যে কোনও সময় যে কোনও ঘটনা ঘটে যেতেই পারে। যাঁরা কলকাতায় থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন, তাঁদের কাছে ওই হস্টেলই ভরসা। এমন আবাসিকদের সুরক্ষার স্বার্থে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সংসদ উপাচার্যকে চিঠি লিখেছে।

    চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই হস্টেলের একটি ঘরের ছাদের একাংশ এক আবাসিকের বিছানায় ভেঙে পড়ে। কোনও বিপদ না ঘটলেও ওই ঘটনার জেরে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। আবাসিকদের অন্য ঘরে থাকার ব্যবস্থা করা হলেও ঘরের দুরবস্থা কবে দূর হবে, তা নিয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, শীঘ্রই সংস্কারের কাজ শুরু হবে।

    চিঠিতে প্রাক্তনী সংসদের সচিব কৌশিক সাহা উপাচার্য নির্মাল্যনারায়ণ চক্রবর্তীকে লিখেছেন, হেরিটেজ তকমা পাওয়া এই হস্টেলে নিয়মিত ভাবে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হচ্ছে না। মাত্র দু’টি ওয়ার্ডের সংস্কার করা হলেও বাকি ওয়ার্ডগুলির অবস্থা তথৈবচ। এই পরিস্থিতিতে যে কোনও মুহূর্তে সমস্যায় পড়তে পারেন আবাসিকেরা।

    সেই সংস্কারের কাজ কতদূর এগিয়েছে? ডিন অফ স্টুডেন্টস্ অরুণকুমার মাইতির কাছে জানতে চেয়েছিল আনন্দবাজার ডট কম। তিনি বলেন, “হস্টেলের আবাসিকদের সুরক্ষিত রাখতে তৎপরতার সঙ্গে কাজ করেন কর্তৃপক্ষ। যখনই প্রয়োজন হয়েছে, আমরা পিডব্লিউডি-কে জানিয়েছি। তারাই সংস্কারের কাজ করে দিয়েছে।”

    উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে রক্ষণাবেক্ষণর কাজ শুরু হলেও ২০১৮-র নভেম্বরে তা বন্ধ হয়ে যায়। সেই সময় দ্রুত তিনটি ওয়ার্ড সংস্কার করার দাবিতে আবাসিকেরা আন্দোলন করেছিলেন। তখন আবাসিকেরা এও অভিযোগ করেছিলেন, প্রায় তৈরি হয়ে যাওয়া হলঘরগুলি দিনের পর দিন পরে থাকলে ভেঙেও যেতে পারে। লাগাতার বৃষ্টির জেরে সেই পরিস্থিতি ফিরে আসার আশঙ্কায় ভুগছেন হস্টেলের আবাসিকেরা, জানাল প্রাক্তনী সংসদ।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)