• কাজে বেরিয়েই অপহৃত শিক্ষক! মুক্তিপণ না দিলে খুনের হুমকি, মধ্যপ্রদেশ থেকে যেভাবে উদ্ধার করল পুলিশ...
    আজকাল | ০৭ জুলাই ২০২৫
  • মিল্টন সেন, হুগলি: মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উদ্ধার অপহৃত স্কুল শিক্ষক। মধ্যপ্রদেশ থেকে তাঁকে উদ্ধার করলো পুলিশ। তারকেশ্বর যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন। প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকের মুক্তিপণ বাবদ ১৫ লক্ষ টাকা চেয়ে ফোন এসেছিল তাঁর স্ত্রীর কাছে। লোকেশন ট্র্যাক করে মধ্যপ্রদেশের চম্বল এক্সপ্রেস থেকে শিক্ষককে উদ্ধার করল হুগলি গ্রামীণ পুলিশ। 

    শিক্ষক অপহরণ নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। মুক্তিপণ চাইল কে? অপহরণই বা কারা করল? ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হরিপাল থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ জুলাই বেলা তিনটের সময় তারকেশ্বর যাচ্ছেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন নালিকূল বন্দীপুরের বাসিন্দা প্রাথমিক শিক্ষক দেবকুমার দাস। 

    হরিপাল থানার অন্তর্গত নালিকুল স্টেশন গ্যারেজে বাইকটি রেখে যান তিনি। তারপর রাত ন'টার সময় শিক্ষকের স্ত্রীর ফোনে শিক্ষকের ফোন থেকে প্রথমে ফোন আসে ১৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। পরে মেসেজ আসে পুলিশকে বললে খুন করে দেওয়া হবে। শিক্ষকের স্ত্রী হরিপাল থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। জানান, তাঁকে মুক্তিপণের টাকা না দিলে মেরে দেওয়া হবে বলা হয়েছে। 

    পুলিশ ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করে জানতে পারে, প্রথমে আসানসোল। শুরু হয় বিভিন্ন স্টেশনে জিআরপি রেল পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ। তদন্তে পুলিশ আরও জানতে পারে চম্বল এক্সপ্রেসে যাচ্ছেন শিক্ষক এবং তাঁর লোকেশন রয়েছে মধ‍্যপ্রদেশ। একই সময়ে চম্বল এক্সপ্রেসে হুগলি গ্রামীণ জেলা পুলিশ ধনিয়াখালি থানার একটি দল চম্বল গোয়ালিয়র যাচ্ছিল তদন্তের জন্য। 

    হরিপাল থানা খবর পেয়ে ওই টিমের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারপর পুলিশ টিম অনেক খোঁজাখুজি করে ট্রেনের মধ‍্যে শিক্ষকের সন্ধান পায়। তাঁকে ঝাঁসিতে নামানো হয়। সেখান থেকে সোমবার ভোরে হরিপাল থানায় নিয়ে আসা হয়। এদিন শিক্ষককে চন্দননগর আদালতে পাঠানো হয়। গোপন জবানবন্দি দেওয়ার জন্য। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই শিক্ষক তারকেশ্বর যাওয়ার নাম করে কী করে চম্বল এক্সপ্রেসে উঠলেন। তিনি মধ্যপ্রদেশে কেন যাচ্ছিলেন। তাকে কি সত্যি অপহরণ করা হয়েছিল, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য আছে? তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

    ছবি: পার্থ রাহা
  • Link to this news (আজকাল)