• হাইকোর্টে স্বস্তি পেলেন শান্তনু, খারিজ রেজিস্ট্রেশন বাতিলের সিদ্ধান্ত
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৭ জুলাই ২০২৫
  • কলকাতা হাইকোর্টে স্বস্তি পেলেন চিকিৎসক শান্তনু সেন। তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিলের যে সিদ্ধান্ত রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল নিয়েছিল তা খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আদালতের পর্যবেক্ষণ, কী কারণে রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়েছে তা শান্তনুকে জানানো হয়নি। তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার আগে নিয়ম মেনে তাঁকে জানানো উচিত ছিল কাউন্সিলের।

    ৩ জুলাই শান্তনুর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে দেয় রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। জানানো হয়, দুই বছরের জন্য তিনি ডাক্তারি প্র্যাকটিস করতে পারবেন না। অভিযোগ, শান্তুনু সেন কাউন্সিলে রেজিস্ট্রেশন না করেই ‘এফআরসিপি গ্লাসগো’ মেডিক্যালের ডিগ্রি ব্যবহার করছেন। নিয়ম অনুযায়ী, ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল কাউন্সিল অ্যাক্টের সেকশন ২৬ অনুযায়ী, যে কোনও ডিগ্রি মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ায় নথিভুক্ত করা বাধ্যতামূলক। এই নিয়ে শান্তুনুকে নোটিশও পাঠায় রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। তাঁকে তলবও করা হয়। এরপর গত বৃহস্পতিবার দুই বছরের জন্য শান্তনুর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে দেয় কাউন্সিল। এই সিদ্ধান্তই খারিজ করে দিয়েছে আদালত। বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানিয়েছেন, এটি নন স্পিকিং ক্রিপটিক অর্ডার। মেডিক্যাল কাউন্সিলকে তদন্ত বা ওই সংক্রান্ত যাবতীয় রিপোর্ট শান্তনুকে আগে পাঠাতে হবে। তারপরে চিকিৎসকের বক্তব্য শুনতে হবে।

    কাউন্সিল দাবি করেছিল, শান্তনু সেন যে ‘এফআরসিপি’ ডিগ্রি ব্যবহার করেন তা সাম্মানিক ডিগ্রি। গ্লাসগোতে মেল করে এই ডিগ্রির ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু মেলের উত্তর পাওয়া যায়নি। এরপরই শান্তনুর রেজিস্ট্রেশন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় কাউন্সিল। গত ৪ জুলাই কাউন্সিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শান্তনু। সেই মামলার শুনানিতেই স্বস্তি পেয়েছেন তিনি।

    মামলাটির শুনানি চলাকালীন বিচারপতি সিনহা জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে গ্লাসগো সন্মান পেয়েছিলেন শান্তনু। তারপর থেকেই তিনি প্যাডে তা ব্যবহার করছেন। আচমকা ২০২৫ সালে কেন শান্তনুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা মনে হল কাউন্সিলের? যদিও বিচারপতি জানিয়ে দিয়েছেন, মেডিক্যাল কাউন্সিল চাইলে নতুন করে প্রক্রিয়া শুরু করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।

    শান্তনুর অভিযোগ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মেডিক্যাল কাউন্সিল তাঁকে টার্গেট করছে। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের একাধিক পদ থেকে তাঁকে সরানো হয়েছে। আরজি কর কাণ্ডের পর থেকেই শান্তনুর অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে প্রকাশ্যে বক্তব্য রেখেছিলেন তিনি। তারপর থেকেই শুরু হয়েছিল বিতর্ক। এই আবহে চলতি বছরের শুরুতে দলবিরোধী কাজের অভিযোগে শান্তনুকে সাসপেন্ড করে তৃণমূল কংগ্রেস।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)