• স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী স্বামী? খড়্গপুরে যুগলের দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য
    প্রতিদিন | ০৭ জুলাই ২০২৫
  • অংশুপ্রতিম পাল, খড়্গপুর: রেল কোয়ার্টারের একটি ঘর থেকে উদ্ধার যুগলের মৃতদেহ। বিছানার উপর পড়ে স্ত্রীর গলাকাটা রক্তাক্ত মৃতদেহ। পাশে ঘুমিয়ে ৩ বছরের কন্যাসন্তান। সেই ঘরেই ঝুলছে স্বামীর মৃতদেহ। হাড়হিম ঘটনাটি ঘটেছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর শহরের ১৫নং ওয়ার্ডের জয়হিন্দনগর এলাকায়। তদন্ত শুরু করেছে খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ। মৃত স্ত্রীর নাম দীপা মাহাতো (২৬) এবং স্বামীর নাম বিক্রম পুত্তা (৩৭)। পুলিশের অনুমান, রবিবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে। পারিবারিক অশান্তির কারণে স্ত্রীকে ‘খুন’ করে নিজেও ‘আত্মঘাতী’ হয়েছেন ওই ব্যক্তি। তদন্তকারীরা প্রাথমিকভাবে এই অনুমান করছেন।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ১৫ আগে শহরের ১৩ নং ওয়ার্ডের নিমপুরা এলাকার বাসিন্দা, পি সোনি নামে এক তরুণীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল বিক্রমের। তাঁদের ১৪ বছরের একটি ছেলে এবং ১২ বছরের যমজ মেয়ে আছে। পরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। পেশায় ড্রাইভার বিক্রমের সঙ্গে পরে খড়্গপুরের বাসিন্দা দীপা মাহাতোর বিয়ে হয়। তাঁদের একটি তিন বছরের কন্যাও আছে।

    ইদানীং দীপা ও বিক্রমের সঙ্গে প্রায়ই অশান্তি, ঝগড়া চলত বলে খবর। প্রথমপক্ষের স্ত্রী সোনির সঙ্গে ফের বিক্রমের ঘনিষ্ঠতা বাড়তে শুরু করে বলেও অভিযোগ। ইদানীং রাতে মাঝেমধ্যেই বিক্রম তাঁর জয়হিন্দনগরের বাড়িতে যেতেন বলে সোনি দাবি করেছেন। রবিবার রাতে বিক্রম ওই বাড়িতে যাননি। এমনই জানিয়েছেন সোনি। সেকারণে আজ, সোমবার বেলা ১০টা নাগাদ সোনি বিক্রমের বাড়িতে গিয়েছিলেন। ঘরের দরজা ভেজানো ছিল। সেই দরজা ঠেলে ঢুকতেই খাটের উপরে দীপার রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পাশেই ঘুমোচ্ছে তিন বছরের কন্যা। সেই ঘরেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলতে দেখা যায় বিক্রমকে। সেই ঘটনা দেখে সোনি খড়গপুর টাউন থানায় ফোন করে খবর দেন।

    পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। দুই মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। প্রথমপক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে বিক্রমের যোগাযোগ বাড়াতেই কি আরও অশান্তি? সেই থেকেই কি এই ঘটনা? সেই প্রশ্ন উঠেছে। দীপাও কি বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন? সেই প্রশ্নও উঠেছে। তদন্তকারীরা সব দিক খতিয়ে দেখছেন। ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)