উনি কেমন নেত্রী যিনি নিজের সম্ভ্রমই রক্ষা করতে পারেন না? রাজন্যাকে আক্রমণ TMCর
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৭ জুলাই ২০২৫
কসবাকাণ্ডের পর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দাদা সংস্কৃতির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন সংগঠনের বহিষ্কৃত নেত্রী রাজন্যা হালদার। আর তার পরই তাঁর সরব হওয়ার সময় নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছিলেন তৃণমূলের ২ যুবা নেত্রী। আর সেই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে রবিবার সংবাদমাধ্যমের স্টুডিয়োয় কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। এর পর রাজন্যার বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়াল তৃণমূল। সরাসরি রাজন্যাকে আক্রমণ করলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ভ্রাতৃবধূ জুঁই বিশ্বাস। রাজন্যাকে নখ – দাঁত বার করে আক্রমণ শানিয়ে তিনি বললেন, ‘না নেত্রী হওয়ার যোগ্যতা আছে, না অভিনেত্রী।’
গত বছর আরজি কর কাণ্ডের পর নারী নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন রাজন্যা। এর পর তাঁকে বহিষ্কার করে তৃণমূল। যদিও বহিষ্কারের পরেও তৃণমূলের প্রতি তাঁর আনুগত্য অবিচল রয়েছে বলে দাবি রাজন্যার। কসবাকাণ্ডের পর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নানা কার্যকলাপ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। এমনকী AIএর মাধ্যমে বানানো তাঁর নগ্ন ছবি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতারা ছড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ তোলেন। এর পরই প্রশ্ন ওঠে, এই অভিযোগ এতদিন কেন করেননি রাজন্যা? কেন পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেননি তিনি? রবিবার এই প্রশ্ন তোলেন ফিরহাদ হাকিমের কন্যা প্রিয়দর্শিনী হাকিম ও অতীন ঘোষের কন্যা প্রিয়দর্শিনী ঘোষ। রবিবার একটি সংবাদমাধ্যমের স্টুডিয়োয় সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন রাজন্যা। এর পর সোমবার ফের রাজন্যাকে লক্ষ্য করে আক্রমণ শানায় তৃণমূল।
জুঁই বিশ্বাস বলেন, ‘ঘটনাটি আমি তিন চারদিন ধরে টিভির পর্দায় দেখছি। দলের একজন কর্মী, জনপ্রতিনিধি হিসাবে এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। যদি কোনও মহিলার সঙ্গে এই ধরনের ঘটনা ঘটে, তাহলে এতদিন চুপ করে ছিলেন কেন? তিনি তো একজন পড়াশোনা করা মহিলা, নেত্রী বলছেন নিজেকে, তিনি নিজেকেই যদি রক্ষা করতে না পারেন, তাহলে নেত্রী হিসাবে বাকিদের জন্য কী করবেন? প্রশ্ন দুই, তিনি কেন এতদিন চুপ ছিলেন? যৌন হেনস্থা হলে মহিলাদের জন্য দেশে আইন রয়েছে। তিনি আইনের দ্বারস্থ হতে পারতেন। ’
জুঁইদেবীর বক্তব্য, ‘যোগ্যতা বিচারের জন্যও যোগ্যতা লাগে। যাঁরা একে মাথায় তুলেছিলেন, তাঁদের যোগ্যতা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। না নেত্রী হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে, না অভিনেত্রীর। দু’দিনে এসেই নেত্রী? কোভিড কিংবা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে এদের মুখ কেন দেখতে পাওয়া যায় না। শুধু ব্যক্তিগত এজেন্ডা নিয়ে রাজনীতি করতে আসে।’
জুঁই বিশ্বাসের মন্তব্যে স্পষ্ট, রাজন্যাকে জায়গা ছাড়তে নারাজ তৃণমূল। রাজন্যা নিজের অবস্থানে অনড় থাকলে তৃণমূলের আক্রমণ আরও তীব্র হবে।