• তমান্নার কালীগঞ্জের বাড়িতে জাতীয় মহিলা কমিশনের টিম, ‘এখনও বিচার পেলাম না’, বলছেন সন্তানহারা মা
    এই সময় | ০৭ জুলাই ২০২৫
  • কালীগঞ্জ উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার দিন বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় তমান্না খাতুন নামে এক নাবালিকার। অভিযোগ ওঠে, তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে ওই বোমা ছোড়া হয়। সেই ঘটনায় এ বার কালীগঞ্জে জাতীয় মহিলা কমিশনের টিম। তমান্নার মায়ের সঙ্গে দেখা করে জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার বলেন, ‘২৩ জুনের ঘটনা। অথচ এখনও পরিবার সঠিক বিচার পেলেন না। যিনি ভোটে জিতলেন, তিনি একবারও পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এলেন না।’

    তমান্নার মৃত্যুর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১০ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। মূল অভিযুক্ত গাওয়াল শেখও গ্রেপ্তার। তবে ২৩ তারিখ থেকে ৭ জুলাই পেরোতে চলল, বাকি ১৪ জনকে এখনও অধরা। এই ঘটনা পুলিশের ব্যর্থতা বলেই দাবি তমান্নার মা, বাবার। এ দিন কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার এসপির সঙ্গে দেখা করতে এসপি অফিসে গিয়েছিলেন অর্চনা মজুমদার। ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেড কোয়ার্টার মাকওয়ানা মিতকুমার এবং ডেপুটি পুলিশ সুপার শিল্পী পাল। পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে বাকি ১৪ জনকেও দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। কেউ ছাড় পাবে না।

    এ দিন বেশ কিছুক্ষণ তমান্নার মা সাবিনা বিবির সঙ্গে কথা বলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যরা। ২৩ জুন কী কী ঘটেছিল, মহিলা কমিশনের সদস্যদের তা জানান তমান্নার মা।

    পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অর্চনা মজুমদার বলেন, ‘পুলিশের সঙ্গে কথা হয়েছে। তদন্ত কত দূর এগোল, গ্রেপ্তারে কেন এত দেরি, চার্জশিট কবে দেবে, ফরেন্সিক রিপোর্ট কোথায় সেই সংক্রান্ত একটা রিপোর্ট আগেই পাওয়া গিয়েছে। আমরা এই ঘটনার পরেই পুলিশ সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। আমরা হস্তক্ষেপ করলে পুলিশও স্বভাবতই চাপে পড়ে। পরবর্তীতে কয়েকজন গ্রেপ্তারও হয়েছে। না হলে তাও হতো না।’

  • Link to this news (এই সময়)