• থানার সামনে ধর্নার হুঁশিয়ারি রঞ্জনের! ছিনতাই কাণ্ড: পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
    বর্তমান | ০৮ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: ওয়ার্ডে ছিনতাইয়ের ঘটনায় দ্রুত দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করা না হলে শিলিগুড়ি থানার বাইরে অবস্থানে বসবেন। সোমবার এমনই হুশিয়ারি দিয়েছেন ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার। তিনি বলেন, আগেও ওয়ার্ডে  ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছিল। সেক্ষেত্রে পুলিস কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এবার যদি পুলিস দুষ্কৃতীদের দ্রুত গ্রেপ্তার না করে, থানার সামনেই ধর্নায় বসব।  রবিবার রাতে শিলিগুড়ি শহরর অন্যতম জনবহুল এলাকা ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের হাকিমপাড়ায় এক মহিলার হাত থেকে ব্যাগ ছিনতাই করে পালায় স্কুটার নিয়ে আসা দুই দুষ্কৃতী। ঘটনার পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শহরের মহিলারা তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এমন অবস্থায় এই শহরের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন খোদ ডেপুটি মেয়র। যদিও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার তদন্তে নেমে শিলিগুড়ি থানার পানিট্যাঙ্কি আউটপোস্টের তদন্তকারী অফিসাররা আশেপাশের বেশকিছু রাস্তার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন। তবে, কিছু ক্যামেরার ছবি খুব খারাপ। ফলে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করতে কিছুটা হলেও বেগ পেতে হচ্ছে তাঁদের। যদিও তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন, শীঘ্রই দুষ্কৃতীদের জালে তোলা সম্ভব হবে। 

    আবহাওয়া এবং বৃষ্টির জন্য কয়েকটি সিসি ক্যামেরা খারাপ হয়ে যেতে পারে বলে দাবি করছেন ডেপুটি মেয়র। তবে এই অজুহাতে পুলিস তার দায় এড়াতে পারে না বলেও তাঁর দাবি। এলাকায় হয়ে যাওয়া এই ঘটনা নিয়ে রীতিমতো সরব হয়েছেন রঞ্জন। তিনি বলেন, দ্রুত দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। যদি পুলিস তা না পারে, তবে শিলিগুড়ি থানার বাইরে ধর্নায় বসব। 

    উল্লেখ্য, বেশ কয়েকদিন ধরে শহর শিলিগুড়ি ও তার আশেপাশে এলাকায় চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। এমনকী শিলিগুড়ি শহরের প্রাণকেন্দ্র হাসমিচকের কাছে জুয়েলারি দোকানে ডাকাতি, চম্পাসারিতে এটিএম লুটের মতো ঘটনা ঘটে গিয়েছে। রাস্তায় বেরিয়ে কারও ব্যাগ টেনে নিয়ে যাওয়া, গলার চেন ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো কয়েকটি ঘটনা থানায় জমা পড়েছে। যা নিয়ে মহিলাদের একাংশ রীতিমতো আতঙ্কিত। পরপর এমন ঘটনা ঘিরে পুলিসের ভূমিকা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠেছে। এরই মাঝে খোদ শিলিগুড়ি পুরসভার ডেপুটি মেয়র নাগরিকদের নিরাপত্তা এবং পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই রীতিমতো চর্চা শুরু হয়েছে। যদিও শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের ডিসিপি (পূর্ব) রাকেশ সিং বলেন, সবক’টি ঘটনার তদন্ত করছি। ইতিমধ্যেই ডাকাতি ও এটিএম লুটে জড়িত কয়েকজনকে ধরতে পেরেছি। চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনাগুলির তদন্তও চলছে। কিছুক্ষত্রে দুষ্কৃতীদের ধরার ক্ষেত্রে সাফল্য এসেছে। বাকি দুষ্কৃতীরাও দ্রুত ধরা পড়বে।
  • Link to this news (বর্তমান)