নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: ‘রাখে হরি মারে কে’! পাহাড়ের উপর থেকে ধেয়ে আসছে একের পর এক বোল্ডার! তাতে চাপা পড়ে কার্যত দুমড়েমুচড়ে গিয়েছে যাত্রী ভর্তি ছোট গাড়ি। কিন্তু বরাতজোরে প্রাণে বাঁচলেন চালক সহ পাঁচ যাত্রী। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটে সিকিম ও কালিম্পংগামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের ভাসুয়ায়। ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টার জন্য সংশ্লিষ্ট রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ করেছে ন্যাশনাল হাইওয়ে অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড। এব্যাপারে বিজ্ঞপ্তিও জারি করে তারা।
কার্শিয়াংয়ের অতিরিক্ত পুলিস সুপার অভিষেক রায় বলেন, সকালে জাতীয় সড়কে একটি ছোট গাড়ি ধসের কবলে পড়লেও চালক সহ যাত্রীরা সুরক্ষিত রয়েছেন। যাত্রী সুরক্ষায় ২৪ ঘণ্টার জন্য সংশ্লিষ্ট রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করার নির্দেশিকা জারি করেছে এনএইচআইডিসিএল।
এদিন সকালে গোরুবাথান থেকে যাত্রী নিয়ে গাড়িটি কালিম্পংয়ের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একদিকে পাহাড়, অন্যদিকে তিস্তা নদীর গভীর খাদ। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাসুয়ার কাছে আসতেই পাহাড় থেকে বোল্ডার গড়িয়ে পড়ার বিষয়টি লক্ষ্য করেন চালক। কোনওরকমে গাড়ির ব্রেক কষেন তিনি। চালক সহ যাত্রীরা ঝাঁপ দিয়ে গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেন। মুহূর্তের মধ্যে একের পর এক বোল্ডার আছড়ে পড়ে গাড়ির বনেটে। গাড়ির একাংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। স্থানীয়রা বলেন, বৃষ্টির জেরেই ধস নেমেছে। তবে অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন গাড়ির চালক সহ পাঁচ যাত্রী।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার পর রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলের দু’পাশে যানবাহনের লম্বা লাইন পড়ে যায়। তিনটি আর্থমুভার এনে দীর্ঘক্ষণ ধরে চেষ্টা চালিয়ে রাস্তা থেকে বোল্ডার সরায় সেভক ফাঁড়ির পুলিস।
দুপুরের পর রাস্তা দিয়ে যান চলাচল শুরু হলেও ধসের আশঙ্কা অব্যাহত। এজন্যই সন্ধ্যা ৬টা থেকে আজ, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় এনএইচআইডিসিএল। এখন শিলিগুড়ি থেকে গোরুবাথান, লাভা হয়ে ঘুরপথে সিকিম ও কালিম্পংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হচ্ছে।