• দু’পক্ষের লড়াই, গঙ্গা ভাঙন রোধের কাজ শুরুর পরই বন্ধ
    বর্তমান | ০৮ জুলাই ২০২৫
  • সংবাদদাতা, মানিকচক: ভূতনির কেশরপুরে গঙ্গা ভাঙন রোধের কাজ উদ্বোধন হওয়ার পরই বন্ধ হয়ে গেল। কারা কাজ করবে, তা নিয়ে বচসা হয় দু’পক্ষের। পরিস্থিতি সামাল দিতে কাজই বন্ধ রাখল সেচদপ্তর। সামনেই বর্ষা। তার আগে গঙ্গাভাঙন রোধের কাজ বন্ধ হওয়ায় চরম দুশ্চিন্তায় ভূতনির কেশরপুরের বাসিন্দারা। যদিও দু’পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র। মালদহ সেচদপ্তরের আধিকারিক শিবনাথ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ভূতনিতে নবনির্মিত বাঁধ যেখানে শুরু হয়েছে, সেখান থেকে পাঁচশো মিটার বালির বস্তার মাধ্যমে ভাঙন রোধের কাজ করা হবে। সেই কাজ নিয়ে কিছু সমস্যা হয়েছে। দু-এক দিনে মিটে যাবে। 

    মানিকচকের ভূতনির কেশরপুর কালুটোনটোলায় জোর কদমে চলছে রিংবাঁধ নির্মাণের কাজ। ভূতনিকে বন্যার হাত থেকে রক্ষা করতে এই বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। সেই কাজ প্রায় শেষের দিকে। ইতিমধ্যে বাড়ছে গঙ্গা নদীর জল। সেই জল যাতে সরাসরি নতুন বাঁধে ধাক্কা দিতে না পারে, সেজন্য কেশরপুরে সেচদপ্তর প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় পাঁচশো মিটার পাড় বাঁধের উদ্যোগ নিয়েছে।

    গত শুক্রবার কাজের সূচনাও হয়। কিন্তু সেই কাজে নিযুক্ত শ্রমিকদের ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। জানা গিয়েছে, বাঁধ নির্মাণের কাজ বা গঙ্গা ভাঙন রোধের কাজ হলে স্থানীয় শ্রমিকদের নিয়েই কাজ করছিল ঠিকাদার সংস্থা। কেশরপুরেও স্থানীয় শ্রমিকদের দিয়ে কাজ শুরু হয়। কিন্তু সেখানে উত্তর চণ্ডীপুরের আরসইয়া, খসবরটোলার বেশকিছু শ্রমিক কাজের দাবি জানান। তাঁরা কাজ না পাওয়ায় বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন বলে অভিযোগ। ফলে কেশরপুরের শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। বচসায় জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝতে পেরে কাজ বন্ধ করে ঠিকাদার সংস্থা।

    মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রী বলেন, দু’পক্ষকে ডাকা হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত একটি সমাধান বের করা হবে। ভাঙন রোধের কাজ আটকে রাখা কোনওভাবে বরদাস্ত করা যাবে না। 

     নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)