সংবাদদাতা, চাঁচল: সামান্য বৃষ্টি হলেই হাঁটু সমান জল জমে যায় সামসির ভগবানপুরে রেলের সাবওয়েতে। জল থই থই অবস্থার জেরে রেলগেটের দুই পাশে থাকা মানুষজন অবরুদ্ধ হয়ে যান। বিশেষ করে স্কুল কলেজ যাওয়ার সময় পড়ুয়ারা সমস্যায় পড়ে। জমে থাকা জল বের না হওয়ায় বাধ্য হয়ে পাম্পসেট বসিয়ে জল নিষ্কাশন করা হলে তবেই বাসিন্দারা চলাচল করতে পারেন। কিন্তু ততক্ষণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় পেরিয়ে যায়। এই দুর্ভোগ প্রতি বর্ষায় পোহাতে হয় এলাকাবাসীকে। ওই সাবওয়ে দিয়ে ভগবানপুরের পাশাপাশি, পিণ্ডলতলা, মহেশপুর, চাঁদমুনির দু’টি পঞ্চায়েতের ১৫টিরও বেশি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করেন। ভগবানপুর হাই মাদ্রাসা, গার্লস হাই মাদ্রাসা সহ একাধিক প্রাইমারি স্কুলের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক শিক্ষিকা ও স্বাস্থ্যকর্মী সহ অনেকে বৃষ্টির দিনে সাবওয়ের জমা জলে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
এপ্রসঙ্গে উত্তর মালদহের সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, ভগবানপুর রেল সাবওয়েতে বৃষ্টির জল জমার সমস্যা দীর্ঘদিনের। বিষয়টি রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত স্থায়ী ছাউনি তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা জাকির হোসেন বলেন, রেলের সাবওয়েতে একটি ফুটপাত তৈরি করা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু সেটি এমন জায়গায় রয়েছে যে সাধারণ মানুষের কাজে আসে না। যদি ঠিক দিকে ফুটপাত তৈরি হতো, তাহলে বাইক, সাইকেল ও পথচারী সাধারণ মানুষ সহজেই যাতায়াত করতে পারতেন। কিন্তু তা সম্ভব হচ্ছে না। এক শিক্ষক বিপুলেশ দত্তের কথায়, এই সাবওয়ে নির্মাণের সময় কোনও পরিকল্পনা করা হয়নি। তাই অল্প বৃষ্টিতেই এত জল জমে। জল বের হওয়ার কোনও পথ নেই। বৃষ্টি হলেই দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। স্থায়ী জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা ও ছাউনি হলে সমস্যা মিটবে। অন্যদিকে জরুরি পরিস্থিতিতেও সাবওয়ের জলবন্দি অবস্থা বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। মুমূর্ষু রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় অ্যাম্বুলেন্স পর্যন্ত আটকে যাচ্ছে সাবওয়ের জমা জলে। আশাকর্মী সালমা চৌধুরী বলেন, বৃষ্টি হলে দুর্ঘটনার ভয়ে জল ভেঙে অ্যাম্বুলেন্সও যেতে চায় না।