সংবাদদাতা, কুমারগ্রাম: এক ছাত্রীকে পরীক্ষায় কম নম্বর দেওয়া ও কলেজ থেকে নাম কাটার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল কামাখ্যাগুড়ির শহিদ ক্ষুদিরাম কলেজের ইংরেজি বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে সোমবার ওই ছাত্রী কলেজের প্রিন্সিপাল শ্যামলচন্দ্র সরকারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। সেইসঙ্গে এদিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকেও এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রিন্সিপালকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
কয়েক মাস আগেই কলেজের ইংরেজি বিভাগের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা হয়েছে। অভিযোগ, সেই পরীক্ষায় ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক রঞ্জিত রায় নিজের পছন্দের ছাত্রছাত্রীদের বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। এই বিষয়ে ওই ছাত্রী অধ্যাপকের কাছে জানতে চাইলে তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হয়। ওই ছাত্রীকে বলা হয়, কলেজ থেকে তাঁর নাম কেটে দেওয়া হবে। পরীক্ষায় কম নম্বর দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। এই বিষয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতৃত্বকে ওই ছাত্রী অভিযোগ জানান। এরপর এদিন প্রিন্সিপালকে স্মারকলিপি দেয় টিএমসিপি।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কুমারগ্রাম ব্লক সভাপতি বিকি দাস বলেন, ওই অধ্যাপক টাকার বিনিময়ে টিউশন পড়ান। এক ছাত্রীদের সঙ্গে তিনি সম্প্রতি দুর্ব্যবহার করেছেন। ওই ছাত্রীকে অধ্যাপক হুমকি দিয়েছেন। আমরা ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রিন্সিপালকে স্মারকলিপি দিয়েছি।
এদিকে, ওই ছাত্রী জানান, ঘটনার পর তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। একজন শিক্ষকের কাছ থেকে এমন ব্যবহার আশা করা যায় না। যদিও অভিযুক্ত অধ্যাপক রঞ্জিত রায় বলেন, সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। ওই ছাত্রী কেন এমন অভিযোগ তুললেন জানি না। কোনও ছাত্রছাত্রীকেই অর্থের বিনিময়ে পড়াই না। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কেন এই ধরনের অভিযোগ তুলল বুঝতে পারছি না। সকল ছাত্রছাত্রীর সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে।
প্রিন্সিপাল শ্যামলচন্দ্র সরকার বলেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।