কিশোরী খুন, বসিরহাটে গ্রেপ্তার বিজেপি জেলা সভাপতির শ্যালক
বর্তমান | ০৮ জুলাই ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত ও সংবাদদাতা, বসিরহাট: এক কিশোরীকে খুনের অভিযোগে বিজেপি জেলা সভাপতির শ্যালককে গ্রেপ্তার করল ন্যাজাট থানার পুলিস। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম উমেশ মণ্ডল। সোমবার রাতে তাকে বসিরহাট থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। আজ, মঙ্গলবার উমেশকে আদালতে তোলা হবে।
জানা গিয়েছে, সন্দেশখালির ন্যাজাট থানা এলাকায় বাড়ি ছিল বছর ষোলোর কিশোরী পিয়ালি দাসের (নাম পরিবর্তিত)। কিশোরীর বাবা নেই। মা ও বোনের সঙ্গে থাকত সে। সম্ভ্রান্ত পরিবার। বাড়ির কাছেই পরিবারের একটি খামার আছে। মায়ের সঙ্গে ওই কিশোরী খামার দেখাশোনা করত। গত বছর ৪ ডিসেম্বর বিকেলে খামারে গোরুকে খাবার দিতে যাচ্ছি বলে বাড়ি থেকে বের হয় কিশোরী। তারপর আর বাড়ি ফেরেনি। ওইদিন রাতেই ন্যাজাট থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করেন মা। পুলিসের পক্ষ থেকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। কিন্তু হদিশ মেলেনি। পরের দিন স্থানীয়রা খামারবাড়ির একটি পুকুরে মৃতদেহ ভাসতে দেখেন। ন্যাজাট থানার পুলিস ঘটনাস্থলে এসে দেহটি জল থেকে তুললে দেখা যায়, সেটি নিখোঁজ কিশোরীর দেহ। পরিবারের লোকজনও দেহটি চিহ্নিত করেন। তবে কিশোরীর হাত, পা ও মুখ বাঁধা ছিল। তার কোমরে বাঁধা ছিল ইট। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান ছিল, কিশোরীকে খুন করার পর জলে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। দেহটি ডুবিয়ে দেওয়ার জন্য তার কোমরে ইট বেঁধে দেওয়া হয়।
পরিবারের লোকজন দাবি করেন, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তাকে। ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছিল ন্যাজাট থানার পুলিস। অবশেষে সোমবার রাতে উমেশ মণ্ডলকে বসিরহাট থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। এ বিষয়ে মৃতের পরিবারের সদস্যরা বলেন, আমরা দোষীর উপযুক্ত শাস্তি চাই। এর পিছনে আর কেউ জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখুক পুলিস। এই বিষয়ে বসিরহাট পুলিস জেলার সুপার হোসেন মেহেদি রহমান বলেন, খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত উমেশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জেরা করে গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে।
বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুকল্যাণ বৈদ্য বলেন, আইন আইনের পথে চলবে। যে দোষী, সে উপযুক্ত শাস্তি পাবে। তদন্তের উপর আস্থা রয়েছে। এতদিন পরে গ্রেপ্তার কেন, তা স্পষ্ট নয়। এটা রাজনৈতিক চক্রান্তও হতে পারে। পাল্টা তৃণমূলের দাবি, আসলে বিজেপি মানেই ধর্ষণ আর খুন। বিজেপি শাসিত রাজ্যে এটা স্পষ্ট। পুলিসের কাছে আর্জি, এর পিছনে আর যারা জড়িত, তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার