শিবাজী চক্রবর্তী, কলকাতা: সোমবার রাজারহাটের সেন্টার অব এক্সেলেন্সে ইস্ট বেঙ্গল অনুশীলনে সবার চোখ জেসিন টিকের দিকে। ফিজিওর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ রিহ্যাব সারলেন কেরালাইট স্ট্রাইকার। মঙ্গলবার বিএসএসের বিরুদ্ধে জেসিনকে অন্তত কিছু সময় মাঠে নামাতে মরিয়া ইস্ট বেঙ্গল। আসলে ভেদশক্তির অভাবই বিনো ব্রিগেডের দুর্বলতা। সুরুচি সঙ্ঘের বিরুদ্ধে মনোতোষ মাজি ও জেসিন কেউই ছিলেন না। ফলে বিপক্ষ বক্সের আশপাশে খেই হারায় আক্রমণ। আর তা উপলব্ধি করেই জেসিনকে ফেরাতে ব্যস্ততা তুঙ্গে। প্রথম ম্যাচে মেসারার্সের বিরুদ্ধে সুপার-সাব হিসাবে মাঠে নেমে জোড়া গোল করেছিলেন ছিপছিপে এই স্ট্রাইকার। তিনি খেললে চাপে থাকবে প্রতিপক্ষ। অন্যথায় অনভিজ্ঞ অ্যান্ড্রুজের উপর ভরসা রাখা ছাড়া উপায় নেই। ম্যাচের আগে কোচ বিনো জর্জের মন্তব্য, ‘ঘরোয়া লিগে প্রতিটা ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি ছেলেরা মঙ্গলবার হতাশ করবে না।’
ঘরোয়া লিগে দু’টি ম্যাচে ইস্ট বেঙ্গলের পয়েন্ট ৪। প্রথম ম্যাচে মেসারার্সকে ৭ গোলের মালা পরায় তন্ময়, সায়নরা। কিন্তু সুরুচির বিরুদ্ধেই ছন্দপতন। ম্যাচ ড্র হয় ১-১ গোলে। তাই জয়ের চেনা পথে ফিরতে মরিয়া ইস্ট বেঙ্গল। তাই জলকাদার মাঠে শুরু থেকেই আক্রমণের রোলার চালাতে চাইছেন বিনো জর্জ। প্রতিপক্ষের রক্ষণ ভাঙতে হলে মাঝমাঠ ও উইং হাফকে আরও সচল হতে হবে। কিন্তু তন্ময়, সায়নরা চেনা ছন্দে নেই। আক্রমণও অনেক শ্লথ। ফলে নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার সময় পাচ্ছে বিপক্ষ। জলকাদার মাঠে ডেড বল মুভমেন্ট খুবই কার্যকরী। কিন্তু বিনোর ইস্ট বেঙ্গলে দক্ষ হেডারের অভাব প্রকট। পাশাপাশি রক্ষণ নিয়েও সতর্ক থাকতে হবে। সুরুচির বিরুদ্ধে চাকু মান্ডিরা মোটেও স্বস্তিতে ছিলেন না।
লিগের উদ্বোধনী ম্যাচে কালীঘাট এমএসকে বশ মানায় বিএসএস। কোচ শ্রীমন্ত দাস ময়দানের পোড়খাওয়া। গুটিয়ে না থেকে তাঁর মন্তব্য, ‘বড় দলকে ঘাড়ে চাপতে দিলেই মুশকিল। লড়াই হবে প্রতি ইঞ্চিতে।’
বারাকপুর স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরু দুপুর তিনটেয়। সম্প্রচার এসএসইএন অ্যাপসে।