• আরজি কর: আজ সশরীরে কোর্টে হাজিরা দেবেন সন্দীপ-অভিজিৎ
    এই সময় | ০৮ জুলাই ২০২৫
  • এই সময়: আবার সশরীরে আদালতে হাজির হতে চলেছেন আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডের দুই অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডল। আজ, মঙ্গলবার শিয়ালদহ আদালতে তাঁদের হাজিরা দেওয়ার কথা।

    অভিজিৎ কলকাতা পুলিশের ইন্সপেক্টর এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি। ওই টালা থানার অধীনেই পড়ে আরজি কর হাসপাতাল। গত বছরের ৯ অগস্ট সেখানকার যুবতী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে অভিজিৎকে গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই।

    পরে তিনি জামিন পেয়ে যান। আর সন্দীপ ওই হাসপাতালেরই প্রাক্তন সুপার। তিনিও ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন এবং পরে জামিন পেয়ে যান। তবে হাসপাতালের টেন্ডার ও মালপত্র কেনাবেচার দুর্নীতির সঙ্গেও যুক্ত থাকার অভিযোগে সন্দীপকে গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই। সেই মামলায় সন্দীপ এখনও জেলে।

    উল্লেখ্য, আরজি কর হাসপাতালের অকুস্থল পরিদর্শন করতে চেয়ে সোমবারেই শিয়ালদহ আদালতে আবেদন করেছে সেই ছাত্রীর পরিবারের আইনজীবীরা। আজ, মঙ্গলবার সেই আবেদনের শুনানিতেই হাজার থাকার জন্য অভিজিৎ ও সন্দীপকে ডেকে পাঠিয়েছেন বিচারক।

    এর আগে অভয়ার পরিবার কলকাতা হাইকোর্টে একই আবেদন করেছিলেন। হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল নিম্ন আদালত (শিয়ালদহ) প্রথম থেকে বিষয়টি দেখছে। তাই এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত তারাই নেবে।

    এই মামলায় সন্দীপ ও অভিজিতকে কেন হাজিরা দিতে হবে? আদালত সূত্রে খবর, অভয়ার আইনজীবীদের এই পরিদর্শন সংক্রান্ত আবেদনের ক্ষেত্রে সন্দীপ–অভিজিতের মতামত জানতে চাওয়া হবে। শুনানিতে উপস্থিত থাকবে সিবিআই।

    অভয়ার আইনজীবীদের দাবি, ক্রাইম–সিন বা অকুস্থল সম্পর্কে তাঁদের কোনও সম্যক ধারণা না থাকায় সওয়াল জবাবে সমস্যা হচ্ছে। তাঁদের আরও দাবি, এই ঘটনার তদন্তে ত্রুটি রয়েছে। তদন্ত ও বিচার স্বচ্ছ ভাবে হওয়া প্রয়োজন।

    এটি শুধু নির্যাতিতার পরিবার নয়, দেশের সব তরুণী চিকিৎসকদের নিরাপত্তার উপরে প্রভাব ফেলেছে। যে সব ফাঁক রয়েছে, তার উপরে দৃষ্টিপাতের জন্য তাঁরা হাসপাতালের অকুস্থল ঘুরে দেখতে চান।

    এ বিষয়ে নির্যাতিতার আইনজীবী রাজদীপ হালদার বলেন, ‘ঘটনাস্থলে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের সঙ্গে আরও কেউ ছিল। তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ত্রুটি শনাক্ত করে আদালতকে সাহায্য করতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা গুরুত্বপূর্ণ।’ সোমবার অভয়ার মা ও বাবাও বলেন, ‘ক্রাইম সিনে না গেলে শুনানি ঠিক ভাবে করা যাচ্ছে না। ক্রাইম সিনটা আইনজীবীদের দেখা জরুরি।’

  • Link to this news (এই সময়)